সকালের নাস্তায় প্রয়োজন কার্বযুক্ত খাবার!

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ওজন বৃদ্ধির জন্য কার্বসমৃদ্ধ খাবারকেই মূলত দায়ী করা হয়।

ফাস্ট ফুড কিংবা চিনিযুক্ত খাবারের কার্ব শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও, খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ খাবারের কার্ব শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ও উপকারী। অস্বাস্থ্যকর খাবারের কার্ব শরীরকে মোটা করে দিলেও, স্বাস্থ্যকর খাবারের কার্ব শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে কাজ করে।

উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ কার্বযুক্ত খাবার সকালের নাস্তায় রাখার ফলে- সারাদিনের কাজের শক্তি, শরীরে পুষ্টির চাহিদা ও খাদ্য সহজে হজম হওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে। জেনে রাখুন কোন পাঁচটি উচ্চ আঁশ ও কার্বযুক্ত খাবার নাস্তায় রাখা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

আপেল

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/07/1544163241212.jpeg

ফলের রং, স্বাদ ও আকারের ভিত্তিতে প্রতিটি আপেলে ১৩-১৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্ব রয়েছে। সঙ্গে আছে ভিটামিন ও মিনারেল সমূহ। বিশেষভাবে আছে ভিটামিন-সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্ল্যান্ট কম্পাউন্ড সমূহ। উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ আপেলের কার্ব সুস্থ শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। হৃদযন্ত্রের সুস্থতা ও ডায়বেটিসকে দূরে রাখতে চাইলে নাস্তার টেবিলে রাখতে হবে আপেল।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্বের পাশাপাশি আছে আঁশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন-বি৫, ভিটামিন-এ, ম্যাংগানিজ ও ভিটামিন-সি। এছাড়া স্বল্পমাত্রার কোলেস্টেরল, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়াম শরীরের ক্ষতি করে না মোটেও।

কলা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/07/1544163275173.jpeg

কলাতে রয়েছে ২৩ শতাংশ কার্ব। কাঁচা কলাতে থাকে স্টার্চ যা পাকা কলাতে চিনিতে পরিণত হয়। কার্বের পাশাপাশি কলাতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-বি৬, পটাশিয়াম ও ভিটামিন-সি। সঙ্গে উপকারী পেকটিনের কথা ভুলে চলবে না মোটেও।

কুইনো

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/07/1544163316052.jpg

শস্যজাত খাবারের মাঝে কুইনো খুবই জনপ্রিয়। উচ্চমাত্রার কার্ব ছাড়াও এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ, প্রোটিন, প্ল্যান্ট কম্পাউন্ড ও মিনারেল সমূহ। কুইনো নানাবিধা স্বাস্থ্য উপকারিতার মাঝে অন্যতম হলো, রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। একইসঙ্গে ওজনকেও নিয়ন্ত্রণের ঘরে রাখতে কাজ করে কুইনো।

ওটস

শস্যজাত খাবারের মাঝে সবচেয়ে উপকারী উপাদান হিসেবে ধরা হয় ওটসকে। মিনারেল, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চমৎকার মিশ্রণের এই খাদ্য উপাদানটি থেকে পাওয়া যাবে ৬৬ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট এবং ১০ শতাংশের বেশি আঁশ। ওটস যে শুধুই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে তা নয়, রক্তে চিনির মাত্র কমাতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন: যে খাবারগুলো গরম করতে মানা

আরো পড়ুন: লম্বা সময় ক্ষুধা পাবে না যে চার খাবারে