জাবির ‘বাটারফ্লাই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন আ ন ম আমিনুর রহমান

  • ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অধ্যাপক আমিনুর রহমানের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দিচ্ছেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম

অধ্যাপক আমিনুর রহমানের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দিচ্ছেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘প্রজাপতি মেলা ২০২৩’-এ প্রজাপতি ও এর সংরক্ষণ বিষয়ে লেখালেখির মাধ্যমে আপামর জনসাধারণকে সচেতন করতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে ‘প্রজাপতি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন অধ্যাপক ড. আ ন ম আমিনুর রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্বদ্যিালয়ের গাইনিকোলজি, অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি টিচিং হসপিটালের বিশেষজ্ঞ প্রাণিচিকিৎসক দেশের স্বনামধন্য পাখি, প্রজাপতি ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ। 

শুক্রবার জাবির জহির রায়হান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘প্রজাপতি ২০২৩-এ এই অ্যাওয়ার্ড অধ্যাপক রহমানের হাতে তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বনবিভাগ, আইইউসিএনসহ দেশের প্রকৃতি, পাখি, প্রজাপতি ও বন্যপ্রাণীর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক ড. আ ন ম আমিনুর রহমান দৈনিক প্রথম অলোসহ বিভিন্ন দৈনিক ও অন্যান্য পত্রিকায় নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের প্রজাপতি, পাখি ও বন্যপ্রাণীর পরিচিতি ও সংরক্ষণমূলক ফিচার লিখে যাচ্ছেন। প্রজাপতি, পাখি ও বন্যপ্রাণী দেখা, এদের ছবি তোলা, খাদ্য এবং আবাস্থল সংরক্ষণ বিষয়ে আপামর জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে গত ৩৩ বছর যাবৎ তিনি লেখালেখির কাজ করছেন। এছাড়াও প্রজাপতি-পাখি-বন্যপ্রাণী চেনা ও সংরক্ষণ বিষয়ে আগ্রহীদের হাতে কলমে শিক্ষা দেয়ার জন্য তিনি গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন সংগঠন। এসব সংগঠনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিডি বার্ডার্স, বিডি ওয়াইল্ডলাইফারস এবং বিডি ওয়াইল্ডলাইফ ভেট্স অ্যান্ড রেসকিউয়ারস। এসব সংগঠন প্রজাপতি, এদেপাখি ও বন্যপ্রাণীর ব্যাপারে জনগনকে সচেতন করা ছাড়াও এদের উদ্ধার, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কাজ করে থাকে।

অধ্যাপক রহমান প্রজাপতি, পাখি ও বন্যপ্রাণী বিষয়ে গবেষণার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগে গড়ে তুলেছেন ‘বন্যপ্রাণী প্রজনন ও সংরক্ষণ’ গবেষণাগার। এই গবেষণাগার দেশের জন্য বন্যপ্রাণী চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ তৈরিতে বিশেষ অবদান রাখছে। বর্তমানে এই গবেষণাগারে এদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া অনিন্দ সুন্দর ময়ূরের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। এই গবেষণা ভবিষ্যতে ময়ূরকে এদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার হওয়া আহত পাখি-প্রাণীদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনেও বিশেষ অবদান রাখছে। পত্রপত্রিকায় লেখালেখির পাশাপাশি অধ্যাপক আমিনুর রহমান এ পর্যন্ত প্রজাপতি, পাখি ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক ছয়টি বই লিখেছেন।