সুমনের রিমান্ড শুনানিতে যা বললেন মহানগর পিপি

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজ রেস্তোরাঁর সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জাকির হোসাইন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তাকে এজলাসে ওঠানো হয়। ওঠানোর সময় তাকে কাঁদতে দেখা গেছে। মাথা পুলিশের হেলমেট পরানো অবস্থায় চোখ দিয়ে পানি ঝরতে দেখা গেছে। এজলাসে ওঠানোর পরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা চোর চোর বলে চিৎকার করে উঠে। বিচারক এজলাসে উঠলে রিমান্ড বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, এই আসামিকে ফেসবুককে দেখলাম লন্ডন থেকে কথা বলেছেন। জণগণকে বুঝাচ্ছেন তিনি দেশে নেই। অথচ তিনি মিরপুরে বোনের বাসায় আত্মগোপন ছিলেন। কিছু মানুষ আছে যারা প্রকৃত রাজনীতি করে না। মানুষের সাথে ছলচাতুরী ও প্রতারণা করে। মানুষকে ভেলকি দেখিয়ে কাজ হাসিল করে নিতে চায়। সে এমনই একজন প্রতারক। সে নিজেকে দাবি করে সেলফি এমপি। সাংসদে দাঁড়িয়েও সে নিজেকে সেলফি এমপি বলে। সেলফি দেখিয়ে তো আর এমপি হওয়া যায় না। হবিগঞ্জ চুনারুঘাট এলাকায় মানুষের সাথে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করেছে। বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা এনে কয়েকটি কালভার্ট বানিয়েছে। এমপি হওয়ার পরে সব চেয়ে দামি গাড়িটা সে আমদানি করেছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় গাড়িটা ছাড়াতে পারেনি। ফেসবুকে মানুষের সমস্যাগুলো তুলে ধরে আস্থা অর্জন করে প্রতারণা করেছে।

তিনি আরও বলেন, তার নামের আগে ব্যারিস্টার থাকায় সাধারণ মানুষ তার প্রতারণা বুঝতে পারেনি। সে কোটা আন্দোলনের সময় সুপ্রিম কোর্টে একটা প্রেস কনফারেন্স করেছে। সেখানে সে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়েছে। ফ্যাসিবাদের পক্ষ নিয়ে সেখানে সে বলেছে, পৃথিবীর এমন কোনো শক্তি নেই শেখ হাসিনাকে সরাতে পারে। একদিকে সে নিজেকে স্বতন্ত্র দাবি করে এবং অন্যদিকে কোর্টে বক্তব্য দিলে সে তখন আওয়ামী লীগের পক্ষে বক্তব্য দেয়। সর্বশেষ সে পালিয়ে থেকে জণগণকে বুঝাতে চায়লো সে লন্ডনে। আসলে সে মিরপুরে বোনের বাড়িতে পালিয়েছে। পুলিশকে ম্যানেজ করে, গ্রেফতারের আগে ফেসবুকে একটা ভিডিও ছাড়ালো। তাতে সে বলছে, আদালতে দেখা হবে। এটা করে আদালতে সে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। এটার জন্য তার বিরুদ্ধে একটা মামলা হওয়ায় উচিত।

এরপর সুমনের পক্ষের আইনজীবী মোর্শেদ আলম শাহীন শুনানিতে বলেন, আমার সিম্পল বক্তব্য। এই আসামি রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি। এই আসামি ঘটনার সাথে কোনো ভাবেই জড়িত না। আমরা আসামির জামিন চাচ্ছি। রিমান্ড বাতিল চাচ্ছি।