দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

অর্থপাচার সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালত তাকে খালাস প্রদান করেন।

বিজ্ঞাপন

খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

খালাসের পর খন্দকার মোশাররফ হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ আদালতে এটা প্রমাণ হয়েছে। আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্য এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।

বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, আসামি ড. খন্দকার মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করা হলো। যেহেতু আসামির বিদেশে অর্জিত আয় বৈধ তাই উক্ত আয় তিনি দেশে আনতে পারবেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী থাকাকালে ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মানি লন্ডারিং আইনে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী থাকার সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিদ্যমান আইন না মেনে বিদেশে পাচার করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের লয়েডস টিএসবি ব্যাংকে স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ নামে আট লাখ চার হাজার ১৪২ দশমিক ১৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। বর্তমান হারে ওই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যমান বাংলাদেশি টাকায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১। ব্যাংকের বার্ষিক বিবরণীতে বর্তমানে ওই হিসাবটিকে ‘ফ্রিজ’ (জব্দ) দেখানো হয়েছে। এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, এভাবে বিদেশে জমা করা অর্থ বা হিসাবের বিষয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার সম্পদ বিবরণী বা আয়কর বিবরণীর কোথাও উল্লেখ করেননি।