পুলিশের মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ৯ দিনের রিমান্ডে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি:সংগৃহীত

ছবি:সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন হত্যা মামলায় সাবেক এমপি ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অব. এবি তাজুল ইসলামকে ৯ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমানের আদালতে তাকে হাজির করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এসময় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এর আগে, ক্যাপ্টেন অব. তাজুল ইসলামকে রাজধানীর গুলশান তার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফেতার করে গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে ১৯ নভেম্বর বিকালে বাঞ্ছারামপুর থানা এলাকায় লিফলেট বিতরণ করছিলেন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ হামলা করলে সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন গুলিবিদ্ধ হন। নয়নকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে মারা যান। এই ঘটনা নিহত নয়নের বাবা রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে কনস্টেবল বিশ্বজিৎকে প্রধান আসামী করে এসপি আনিসুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলমসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত।

এর আগে, একই বছর ২০ নভেম্বর এই ঘটনায় পুলিশ এসআই আফজাল হোসেন বাদি হয়ে হত্যা, পুলিশের দায়িত্বপালনে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও সরকারি সম্পদের ক্ষতির অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় ১৭জন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০০/১৫০জনকে আসামী করা হয়েছিল। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন অব. এবি তাজুল ইসলামকে। বুধবার বিকেলে ক্যাপ্টেন তাজকে আদালতে তোলা হলে বিএনপির বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত হন। এসময় ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে ৯দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তবে এই সময় তাজের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও রিমান্ডের বিরোধিতা কেউ করেননি।

বাদী পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন ও তারিকুল ইসলাম রোমা বলেন, ছাত্রদলের নয়নকে আওয়ামী ক্যাডাররা পুলিশের ছত্রছায়ায় হত্যা করেছিল। তখন আদালতে একটি মামলা দায়ের করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। এই ক্যাপ্টেন তাজের নির্দেশে মামলাটি খারিজ হয়। এখন মুক্ত পরিবেশ হওয়ায় পুলিশের মামলায় ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।