চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ ও হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ ও হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ ও হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে (১৫) অপহরণের পর হত্যার দায়ে মামুন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলার অন্য ৩ আসামি র‌্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মারা গিয়েছিল। দণ্ডপ্রাপ্ত মামুন দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে আসামি মো. মামুনসহ চারজন অপহরণ করে। তারা সজিবের পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিয়ে পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশ ও র‌্যাবকে জানায়। অপহরণের দুই দিন পর স্কুলছাত্র সজিবের লাশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিঅ্যান্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির ঢাকনা খোলা সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় নিহত সজিবের মামা মো. আব্দুল হালিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর মামলার তিনজন আসামি র‍্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। জীবিত ছিলেন একমাত্র মামুন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল খালেক তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থানায় চার্জশিট প্রদান করেন। মামলার মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মো. মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মামুনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেন আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী। মামলায় রায়ে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন হাসু বলেন, মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।