যে দোষ করিনি, সেই দোষের শাস্তি পেলাম: ড. ইউনূস

  • মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

যে দোষ আমরা করিনি, সেই দোষের ওপরে শাস্তি পেলাম। এটা আমাদের কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল। আমরা সেটা গ্রহণ করলাম। আজ এই আনন্দের দিনে আঘাতটা পেলাম। কারাদণ্ডের রায় শোনার পর প্রতিক্রিয়ায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন।

সোমবার (১ জানুয়ারি) শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আজকে ইংরেজি বছরের প্রথম দিন। সারা দুনিয়া এটি পালন করে বছরের নতুন দিন হিসেবে। আমরা আজকে আদালতে এসেছিলাম রায় শোনার জন্য। এসে মনটা ভরে গেল। আমার বহু বন্ধু-বান্ধব এখানে পেয়ে গেলাম। যাদের সঙ্গে আমার বহুদিন দেখা হয়নি। এরা আজকে এসেছে, এই আনন্দের দিনে যে আমার কি রায় হয়, আমার কি অবস্থা দাঁড়াল তা দেখার জন্য। আমি কিন্তু খুব খুশি তাদের দেখে। মনটা ভরে গেল।

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, রায়ের তারা সংক্ষুব্ধ। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

সোমবার ২ টা ১২ মিনিটে আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। ৮৪ পৃষ্ঠা রায়ের মধ্যে আদালত গুরুত্বপূর্ণ অংশ পড়ে শোনান।

এক পর্যায়ে আদালত বলেন, আসামিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশংসা সূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু এই আদালত নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে তার বিচার হচ্ছে।

পরে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ের পর ড. ইউনূসসহ চার জনের আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিনের আদেশ দেন।

রায় শুনতে ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুলসহ দেশি বিদেশি বহু পর্যবেক্ষক আদালতে হাজির ছিলেন। বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক, ফটোসাংবাদিক, ইউটিউবার ও উৎসুক জনতা আদালত অঙ্গনে ভিড় জমান। কারও কারও হাতে ড. ইউনুসের পক্ষ প্ল্যাকার্ডও ছিল।