নাশকতার মামলায় বিএনপির ৪২ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পৃথক তিন থানার নাশকতার চার মামলায় বিএনপির ৪২ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও ৪৫ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকার পৃথক তিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালে বেআইনি সমাবেশ, পুলিশের কাজে বাধা ও নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর প্রত্যেককে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- জাবেদ, সায়েম, মো. নাঈম, গাফ্ফার, দেলোয়ার হোসেন, মো. শামীম, মো. কবির হোসেন, মো. সোহেল আরমান প্রমুখ।

খিলক্ষেত থানায় এক মামলায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মীর প্রত্যেকের দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলামের আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. ফজলুল হক ফজলু, জহির উদ্দিন বাবু, সালাউদ্দিন দর্জি, মো. শিশির, দেলোয়ার হোসেন, তুহিন, মাহফুজুর রহমান সজিব, আনিস, হাবিব উল্লাহ হাবি ও আনোয়ার।

নাশকতার অভিযোগে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে মামলাটি দায়ের করা হয়। 

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে কোতয়ালী থানায় করা এক মামলায় ১১ নেতাকর্মীর প্রত্যেককে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত এই আদেশ দেন। এছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- মো. সেন্টু, নব কুমার দত্ত, আবু তাহের, মাহির আহম্মেদ রানা, রজ্জব আলী পিন্টু, আসাদুজ্জামান রিপন, ইমরানুল হক ওয়াহিদ, মুফতিজুল কবির কিরন প্রমুখ।

এছাড়া ২০১৮ সালের কোতয়ালী থানার আরেক মামলায় বিএনপির ৪৬ জন নেতাকর্মীর মধ্যে ৯ জনকে দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম। এই মামলায় অভিযোগ প্রামাণিত না হওয়ায় আরও ৩৫ জনকে খালাসের আদেশ দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাইদ আহমেদ রানা, সাইদুর রহমান লিটন, সুজন, আলমগীর, রজ্জব আলী পিন্টু, মোল্লা জজ, মামুন, আশরাফুল আমিন ও আনোয়ারুল আজিম।