আংশিকভাবে চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বাণিজ্য
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বাণিজ্য আংশিকভাবে চালু করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জরুরি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সীমান্ত রুটে যাতায়াতের অনুমোদন দেয়।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) ভারত-বাংলাদেশ জলপথেও জরুরি পণ্য পরিবহনের রুট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রণালয় বলেছে, সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ ও শর্তাবলী জারি করে এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। জরুরি পণ্য পরিবহন যাতে মসৃণভাবে হতে পারে এবং পচনশীল খাদ্যপণ্য যাতে নষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ।
পাশাপাশি বলা হচ্ছে, স্থলপথে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আটকে থাকা পণ্য খালাস করে বাংলাদেশে তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব।
বনগাঁ সীমান্তসহ রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তপথে পণ্যবাহী যানবাহন আটকে আছে লকডাউনের কারণে। ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সীমান্তপথও বন্ধ রয়েছে।
এখনও ভারতে বহু বাংলাদেশি আটকে রয়েছেন। তাদের দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে নিদির্ষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করে কেন্দ্রকে দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রোববার (২৬ এপ্রিল) সব রাজ্যের শীর্ষ পর্যায়ে কর্তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিবের ডাকা বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যগুলির শীর্ষ কর্তারা।
সেখানে পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়সহ অন্যান্য রাজ্যকে নির্দেশনা দিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
অপরদিকে, ভারতে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ মে। এরপর ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে কিনা মূলত এই বিষয় নিয়েই সোমবার (২৭ এপ্রিল) দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে লকডাউন তোলা-সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।