ভারত-বাংলাদেশ করোনা মুক্ত হবে জুলাই মাসে!
বিশ্ববাসী কবে মুক্ত হবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে? ভ্যাকসিন খোঁজার পাশাপাশি এই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানী মহলে। সেই উত্তর খুঁজতে গিয়েই সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডেটা ড্রিভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকরা একটা রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন।
গবেষণায় বলা হয়েছে, গোটা বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাস সম্পূর্ণ বিদায় নিতে বছরের শেষ মাস হয়ে যাবে। ব্যতিক্রম থাকবে আরব দুনিয়ার বাহরাইন। সেখানে করোনার প্রভাব সম্পূর্ণ শেষ হতে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাস হয়ে যাবে।
তবে গবেষকদের মতে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমতে শুরু করবে মে মাস থেকেই। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর ৯৭ থেকে ৯৯ শতাংশ দেশ থেকে করোনা বিদায় নেবে চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসেই। যে তালিকায় রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর প্রকোপ ৯৭ থেকে ৯৯ শতাংশ কম হয়ে যাবে মে মাসের শেষে বা জুন মাসের শুরুতে। আর জুলাই মাসে সম্পূর্ণ করোনামুক্তি ঘটবে দেশ দুটিতে। এই রিপোর্ট যদি বাস্তব রূপ নেয়, তাহলে তা সত্যিই হবে দুই দেশবাসীর কাছে স্বস্তিদায়ক।
প্রায় প্রত্যেকটি দেশের ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা করে এরকম রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এখন পৃথিবীর মধ্যে করোনার প্রভাব সবথেকে বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনা খুব শিগগির বিদায় নিচ্ছে না। মার্কিন মুলুক থেকে এই ভাইরাস বিদায় নিতে আগস্ট হয়ে যাবে।
একইভাবে ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, তুরস্ক, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, কানাডা, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, আর্মেনিয়া, ফিনল্যান্ড, বেলারুস, সিঙ্গাপুর, আফগানিস্তান, জার্মানির মতো দেশগুলো আগস্টের আগে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ইউরোপের দুই দেশ, সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের করোনামুক্তি যথাক্রমে জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে ঘটতে পারে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, ইরানের প্রভাব শেষ হতে অক্টোবর মাস চলে আসবে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা প্রাদুর্ভাব থাকবে সেপ্টেম্বর মাস অবধি।
গবেষকদের কথায়, দেশগুলোতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কত, কী হারে তা রোজ বৃদ্ধি পাচ্ছে, কত রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, কী হারে মানুষ সুস্থ হচ্ছেন প্রভৃতি একাধিক তথ্যকে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেই ভিত্তিতেই রিপোর্ট প্রস্তুত হয়েছে।
তবে প্রতিনিয়ত দুনিয়াজুড়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। দিনকয়েক আগেও যেভাবে বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছিল, তাতে কিন্তু অনেকটাই লাগাম পরানো গিয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। এভাবেই যদি পরিস্থিতি বদলাতে থাকে, তাহলে পরিসংখ্যানেও বড়সড় রদবদল হবে। তখন রিপোর্ট একইরকম নাও থাকতে পারে। আগেই বদল আসতে পারে বিশ্বে।