বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহ্য বিশ্লেষণ করল উপ-হাইকমিশন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের ৪৯তম বছর পূর্তি উপলক্ষে উপ-হাইকমিশনের দ্বিতলে ‘বাংলাদেশ গ্যালারি’-তে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌমিক বন্দোপাধ্যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক পঙ্কজ সাহা, বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান বি এম জামাল হোসেন এবং কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) শেখ শফিউল ইমাম।
সভাপতির বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক এবং যুদ্ধের কৌশল সম্পর্কে পরিষ্কার ভাষায় যে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন সে মোতাবেক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিসমাপ্তি হয়েছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক পঙ্কজ সাহা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা রেকর্ড করার জন্য আমি দমদম বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলাম তখন জানলাম তিনি তার দেশের জনগণের সাথে আগে দেখা করবেন তারপর কলকাতায় আসবেন। একজন দেশদরদি মহান নেতার আদর্শ এমনই হওয়া উচিত যা বঙ্গবন্ধু করেছেন।
আলোচনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌমিক বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘বাঙালির লক্ষ্য স্থির রাখার জন্য যে ধরনের বার্তা দেওয়া প্রয়োজন বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে তার দেশের জনগণকে খুব গভীরভাবে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্বের কারণে মাত্র নয় মাসে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।’
বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ তার আলোচনায় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের একটি বক্তব্যে বিশ্বের মানচিত্র বদলে দিয়েছিলেন। গণতান্ত্রিক চিন্তাধারায় নিমজ্জিত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সকল নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছিলেন।
আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর এ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (কনস্যুলার) মো. বশির উদ্দিন রাষ্ট্রপতির বাণী এবং প্রথম সচিব (প্রেস) মো. মোফাকখারুল ইকবাল প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান।
পরিশেষে সতীনাথ মুখোপাধ্যায় ও মুনমুন মুখার্জি কবিতা পাঠ করেন যা দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন, এ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) সানজিদা জেসমিন।