আগামী বছর কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ
৪৪তম কলকাতা বইমেলার শেষ দিন রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) পালিত হলো বাংলাদেশ দিবস। এ উপলক্ষকে মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় ‘জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু ও সোনার বাংলা’ শীর্ষক একটি সেমিনারের। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়ের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অগ্নিনির্বাপণ জরুরি পরিষেবা ও বনদফতর বিভাগের মন্ত্রী সুজিত বসু।
বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়ের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শোষিত মানুষের পক্ষে ছিলেন। তিনি যে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন তা ছিল ভীষণভাবে বিজ্ঞানসম্মত। তার দেখা সেই স্বপ্নকেই আজ বাস্তবায়নের পথে উন্নীত করেছেন তার সুযোগ্যা কন্যা শেখ হাসিনা।’
আগামী নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীকে সামনে রেখে বাংলাদেশে আয়োজিত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক বইমেলা। যেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশনা সংস্থাগুলোকেও অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। এই প্রথম কোনো দেশ বইমেলায় তৃতীয়বার থিম কান্ট্রি হতে চলেছে। এবছর কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন সেজেছিল বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনের আদলে।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চ্যাটার্জী বলেন, ‘এই দুই বাংলার এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আর তার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশের এক আইডল হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার ভাষণ শুধুই পূর্ব বঙ্গকে নয় একইসঙ্গে উদ্বুদ্ধ করেছিল দুই বাংলাকেই। আগামী নভেম্বরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে বাংলাদেশে আয়োজিত বইমেলায় অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ অংশগ্রহণ করবে।’
সেমিনার শেষে বাংলাদেশ উপদূতাবাসের আয়োজনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা সমগ্র বইমেলা ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন।
এদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ গৌতম ভদ্র, পাবলিশার্স ও বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়, বাংলাদেশ জ্ঞান ও প্রকাশনা সমিতি সভাপতি ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশ উপদূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সীরাজী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের সচিব ড. আবুহেনা মোস্তাফা কামাল, জাতীয় জাদুঘর ট্রাস্টিবোর্ডের সভাপতি শামসুজ্জামান খান, এমপি আসাদ্দুজামান নূর, এমপি অসীম কুমার উকিল, পশ্চিমবঙ্গের অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি পরিষেবা বিষয়কমন্ত্রী সুজিত বসু প্রমুখ।
গত ২৮ জানুয়ারি সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে মহাসমারোহে শুরু হয়েছিল ৪৪তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। বইমেলা শেষের দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিনও প্রতিটি স্টলে ছিল উপচে পড়া ভিড়।