জোড়াসাঁকোয় সূচনা হলো বাংলাদেশ গ্যালারির

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলকাতা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, ছবি: বার্তা২৪.কম

কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ ও রবীন্দ্রনাথ, এই দুইই নিরবচ্ছিন্ন এক বিষয়। রবি ঠাকুর দুই বাংলার সংস্কৃতিতে মনে প্রাণে, তাই তারা আজও অভিন্ন। আর সেই যোগসূত্রই কোথাও যেন স্থাপন করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং। ২০১৮ সালের ২৫ মে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হয় রবি ঠাকুরের পদধূলি ধন্য শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবন।

শান্তিনিকেতনের পর এবার কলকাতার জোড়াসাঁকো। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির মিউজিয়ামে বাংলাদেশ গ্যালারির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সব্যসাচী বসুরায় চৌধুরীসহ রামেন্দ্র মজুমদার, শামসুজ্জামান খান, কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীসহ আরও অন্যান্যরা।

বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ গ্যালারির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুজিববর্ষে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির মিউজিয়ামে বাংলাদেশ গ্যালারির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরিকল্পনা আগেই ছিল। এবার সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। পরিকল্পনা মাফিক ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মতোই বাংলাদেশের মানুষের কাছেও বিশ্বকবি সমানভাবে আপন।’

জোড়াসাঁকোর বাংলাদেশ গ্যালারিতে স্থান পাবে বাংলাদেশে বিশ্বকবির ১০ বছর অতিবাহিত করাকালীন তাঁর সাহিত্যকীর্তি, পল্লী ভাবনা, শিক্ষা ভাবনা, তাঁর লেখায় ফুটে ওঠা গ্রামীণ মানুষের দারিদ্র্য এবং কৃষি ভাবনা, লালন, সংস্কৃতি ভাবনা ছাড়াও থাকবে বেশকিছু স্মারক।

বিজ্ঞাপন
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, ‘দুই বাংলার সঙ্গে রবি ঠাকুরের এক আত্মিক যোগ রয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিশ্বকবির জন্মস্থানের সঙ্গে যুক্ত হলো বাংলাদেশ গ্যালারি। জোড়াসাঁকোয় বাংলাদেশ গ্যালারির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে দুটি ঘর এবং তার সংলগ্ন জায়গা। সেখানেই তৈরি করা হবে বাংলাদেশ গ্যালারি। গ্যালারিটি নির্মাণ করতে পৌনে এক কোটি রুপির মতো ব্যয় হবে। যা অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ সরকার।