করোনাভাইরাসের কারণে চীনে গৃহবন্দি পশ্চিমবঙ্গের যুবক

  করোনা ভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলকাতা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের কারণে চীনে গৃহবন্দি পশ্চিমবঙ্গের যুবক সাম্য কুমার রায়

করোনাভাইরাসের কারণে চীনে গৃহবন্দি পশ্চিমবঙ্গের যুবক সাম্য কুমার রায়

গোটা চীন এখন করোনাভাইরাসের আতঙ্কে আতঙ্কিত। আর সেই আতঙ্কে চীনে নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের এক যুবক সাম্য কুমার রায়। সাম্য বর্ধমান শহরের বাসিন্দা। পোস্ট ডক্টরেট পড়তে চীনের হুবেই প্রদেশের ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেছেন।  ২২ জানুয়ারি চীনে পৌঁছান সাম্য। তারপরের দিন থেকেই গোটা চীনে ছেয়ে গেছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক।

এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাম্যর পরিবার। যোগাযোগ করে সাম্যর সাথে। ফোনে সাম্য জানিয়েছেন, চীনের হুবেইর অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সেখানে সাড়ে তিনশোর মতো ভারতীয় শিক্ষার্থী ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছেন। তারমধ্যে তিনিসহ দুইজন বাঙালি আছে। আরিফ ইসলাম নামে একজন কলকাতার আর সাম্যর বাড়ি বর্ধমান শহরে।

বিজ্ঞাপন

সাম্যর কথা মতো ওখানকার বাজার, মল, প্লেন, ট্রেন সবই প্রায় বন্ধ। ফলে তাঁদের খাবারও ঠিকমত জুটছে না। চীন পৌঁছানোর পরদিন থেকেই সাম্য ঘরবন্দি। ইতিমধ্যে ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দুজন ছাত্র করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা গেছে সাম্যর থেকেই। ফলে সাম্যরা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

সাম্যর বাবা সুজিত রায় জানান, খুব তাড়াতাড়ি ছেলেকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে সরকার। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কাছে আবেদন করেন ছেলেকে চীন থেকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা করতে। সাম্যর মা ইনা রায় বলেন, ছেলের জন্য তাঁদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। কোন কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। ছেলে দ্রুত ফিরে আসুক দেশে।

বিজ্ঞাপন

সাম্য রায় বেঙ্গালুরু থেকে এমএস এবং পরে কানপুর আইআইটি থেকে পিএইচডি করেন। তারপর দুই বছরের চুক্তিতে চীনের ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরেট করতে যান ২০১৯ সালে। প্রায় একবছর পর তিনি দেড়মাসের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। তারপর চীনে ফিরেই করোনা ভাইরাসের দাপটে পড়ে।