সিএএ-এনআরসি'র কারণে বইমেলায় বাড়তি পুলিশ
সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের মেলা প্রাঙ্গণে আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ৪৪তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। বইমেলা জুড়ে চলছে শেষবেলার প্রস্তুতি। তবে এবারের বইমেলায় হতে পারে কোনো বিক্ষোভ- সে আশঙ্কায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য পুলিশ।
বিশেষ করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পশ্চিমবাংলা জুড়ে সাম্প্রতিককালে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার আঁচ পড়তে পারে বইমেলায়। সিএএ-র পক্ষে বা বিপক্ষে থাকা বিক্ষোভকারীরা আচমকা এই নিয়ে কোনো বিক্ষোভ প্রদর্শনের চেষ্টা করতে পারে। এ আশঙ্কায় এবার রাখা হচ্ছে পুলিশের বিশেষ বাহিনী।
পুলিশ সূত্রের খবর, বইমেলায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা থেকে শুরু করে নজরদারির জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। সে কারণে বইমেলাকে চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি জোনের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা। বইমেলায় রাখা হচ্ছে মহিলা পুলিশের বিশেষ বাহিনীও।
এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে থাকছে শতাধিক সিসি ক্যামেরা। তার জন্য বইমেলার ভেতরেই খোলা হবে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। সেখানে পুলিশের একটি বিশেষ দল নজরদারির দায়িত্বে থাকবে। এর পাশাপাশি থাকছে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার। থাকছে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম নামে বিশেষ সফটওয়্যার। হাজার ভিড়েও যাতে অপরাধীকে সনাক্ত করা যায়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বইমেলার গতবছর থেকে পকেটমারদের দৌরাত্ম্যের খবর পাওয়া গেছে। সে কারণে থাকবে সাদা পোশাকে পুলিশ। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণের ভেতর হঠাৎ করে কোনো বিক্ষোভ করার চেষ্টা হলে প্রস্তুত থাকবে পুলিশের দুটি বিশেষ বাহিনী। আবার সেই বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য মজুত থাকবে আরও দুটি বিশেষ বাহিনী। এর পাশাপাশি ভিভিআইপি, ভিআইপি কিংবা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য থাকছে বিশেষ এসকর্ট বাহিনী থাকবে। তারা গতবারের মতো এবারেও ব্লেজার পরে থাকবেন। বইমেলায় ইতিমধ্যেই তারা পরিচিত ব্লেজার পুলিশ নামে।
শুধু বইমেলার ভেতরেই নয়, বাইরের রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নজরদারিতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এমনকি সাদা পোশাকে ফুটপাতেও থাকছে পুলিশের বিশেষ কয়েকটি দল। গত কয়েক মাস ধরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে ভাবে আন্দোলন চলছে তাতে বইমেলার সময়ে মিটিং, মিছিলের আশঙ্কা রয়েছে বিভিন্ন মহলে। সেক্ষেত্রে আচমকা বইমেলার বাইরে বিক্ষোভ বা মিছিল হলে, তা ঠেকাতে বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।