কলকাতায় বাংলাদেশের বিজয় উৎসব

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কলাকাতায় বাংলাদেশের বিজয় উৎসবের উদ্বোধন, ছবি: সংগৃহীত

কলাকাতায় বাংলাদেশের বিজয় উৎসবের উদ্বোধন, ছবি: সংগৃহীত

কলকাতায় শুরু হলো বাংলাদেশের বিজয় উৎসব। বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা বাংলাদেশের মহান বিজয় উৎসব ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষে প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী মিশন বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে ১৭-২০ ডিসেম্বর ২০১৯ চার দিনব্যাপি ‘বাংলাদেশ বিজয় উৎসব ২০১৯’ আয়োজন করেছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান-এর সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুর রশিদ।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. গওহর রিজভী বলেন, '১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যের পিছনে ভারতের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি মূলত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের আগেই বঙ্গবন্ধু জানতে পারেন পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া আমাদের গত্যন্তর নেই।' বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে পাঠানো এবং কিভাবে ভারত সরকার তাদের সাহায্য করেছিল সেটি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।

বিজয় উৎসবে শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশন

তিনি আরও বলেন, 'সে সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি কোনো রকম সাহায্য না করার ব্যাপারে ভারতকে চাপ দেয়। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পিছু না হটে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে, ভারত বাংলাদেশের এক কোটি মানুষের আশ্রয় ও খাবার দিয়ে যে সাহায্য করেছে তার ভুলবার নয়।'

বিজ্ঞাপন

এসময় মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুর রশিদ বলেন, 'ভারতীয় যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত এবং যারা ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ এর সদস্য তারা আমাদের পরম বন্ধু। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক ধ্বংস করার জন্য যারা ছিল তারা সফল হয় নাই। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সর্বদা অটুট থাকবে। এছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মধুর সম্পর্ক ফিরে এসেছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর। বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সুসম্পর্ক আরো মজবুত করার জন্য আমাদের সরকার দিন-রাত পরিশ্রম ও সহযোগিতা করে চলেছেন।'

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ২৫০টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়

বাংলাদেশ-এর বিজয় উৎসবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ২৫০টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশের উন্নয়নভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। চার দিনের বিজয় উৎসব প্রতিদিন বিকাল ৪.০০ থেকে রাত ৮.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত চলবে।

বিজয় উৎসবের জমজমাট আয়োজনের প্রথমদিনে উপ-হাইকমিশন পরিবারের অংশগ্রহণে সমবেত সঙ্গীত পরিবেশনা, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়া সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদি, অদিতি মহসিন, মো. আব্দুল হালিম খান। আবৃত্তি করেন আহকাম উল্লাহ। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন আহকাম উল্লাহ ও শারমিন লাকি।