বিক্ষোভ থামাতে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলকাতা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভ/ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভ/ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভ। টানা তৃতীয় দিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে, আগুন জ্বালিয়ে রেল পথ অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

রোববারও (১৫ ডিসেম্বর) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচিবালয়-নবান্ন সূত্রে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, মালদহ, মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং ও বারুইপুরের কিছু অংশ এবং বসিরহাট ও বারাসত মহকুমারও কিছু জায়গায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ জারি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সেই নিয়ন্ত্রণের পরিধি আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গেছে নবান্ন সূত্রে। হাওড়া এবং উত্তর দিনাজপুরেও ইন্টারনেট ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে।

রোববার সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের নতুন নতুন জায়গায় আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে অশান্তি বিরাজ করছে। মালদহ জেলার বিভিন্ন অংশে রেলপথ এবং জাতীয় সড়ক অবরোধের খবর এসেছে। একই রকমভাবে বীরভূম জেলার মুরারইয়ের দুটি ব্লকেই বিক্ষোভ বাড়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও রেল এবং সড়কপথ অবরোধ, বিক্ষোভ চলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মল্লিকপুর, বারুইপুর, মহেশতলা, হটুগঞ্জে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগণায় আমাডাঙার সোনাডাঙা, ধানকল, কামদেবপুর।

জেলায় জেলায় অবরোধ বিক্ষোভ ক্রমেই সহিংসতা ছড়ালে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবাদের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ যারা করবে তাদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে কড়া বিবৃতি দিয়েছেন মমতা।

সূত্র: আনন্দবাজার