অতীতে কখনো কলকাতায় পেঁয়াজের দাম এতটা বাড়েনি!
গোটা ভারতেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দিনদিন খুচরা বাজারে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল পেঁয়াজের দাম। এবার দাম বাড়ল কলকাতার পাইকারি বাজারেও।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কলকাতার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে ৪০ কেজির পেঁয়াজের বস্তার দাম ছিল ৩৬০০ থেকে ৪০০০ রুপির মধ্যে। অবশ্য গুণ-মান ও আকার অনুযায়ী পেঁয়াজের দামের মধ্যে কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। কলকাতার ব্যবসায়ীরা বলছেন, রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে পেঁয়াজের দামে। অতীতে কখনো কলকাতায় পেঁয়াজের দাম এতটা বাড়েনি।
রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের কর্তা কমল দে জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেও পাইকারি বাজারে ৪০ কেজির পেঁয়াজের বস্তার সর্বোচ্চ দাম ছিল ২ হাজার ৮০০ রুপির আশপাশে। তখনই অধিকাংশ খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি একশ রুপি ছুঁয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কত হবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারাও। ১৫০ রুপি হতে পারে বলে তাদের মত। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার রাস্তাই যেন পাচ্ছে না তারা।
এমনিতে মহারাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বললেই চলে। সরবরাহ বাড়লে তবেই দাম কিছুটা কমবে। কিন্তু মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো পেঁয়াজ উৎপাদক রাজ্যগুলোতেই পাইকারি বাজারে ৮০ থেকে ৮৫ রুপি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। সেখানকার খুচরা বাজারে পেঁয়াজ কেজিতে একশ পার করে যাচ্ছে।
অবশ্য ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও সরকারি স্টলে এখনও ৫৯ রুপি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ালেও স্টলগুলোতে দাম স্থিতিশীল রাখা হচ্ছে। সরকার ভর্তুকি দেওয়ায় এই দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু মাথাপিছু তার একটা পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
মিশর থেকে আমদানি করা প্রথম দফার ২০০ টন পেঁয়াজ ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতায় পৌঁছাতে পারে। কিন্তু ওই পেঁয়াজ চাহিদা মেটানোর পক্ষে খুবই কম। দ্বিতীয় দফার আমদানি করা পেঁয়াজ আসতে জানুয়ারি মাস পড়ে যাবে। অবশ্য কিছুদিনের মধ্যে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক থেকে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করবে বলে ব্যবসায়ী মহলের আশা। নতুন পেঁয়াজ বেশি পরিমাণে এলে তবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করছে তারা।