মেডিসিন নয় ব্যথা কমাবে নিজের রক্ত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কলকাতা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতা পিজি হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিনের পিআরপি বিভাগের এইচওডি, চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিক

কলকাতা পিজি হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিনের পিআরপি বিভাগের এইচওডি, চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিক

আপনি অর্থবান নন? দীর্ঘদিন ব্যথা বেদনায় ভুগছেন? ঘাড়ের ব্যথা, কোমরের ব্যথা অর্থাৎ শরীরের নানা জয়েন্টে ব্যথা এমনকি মাংসপেশিতে ব্যথা, এমন সব ব্যথার উপশম মিলতে পারে আপনার নিজের রক্তেই। তাও অস্ত্রোপচার ছাড়াই। এমন চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু হয়েছে কলকাতার পিজি (এসএসকেএম) হাসপাতালে। পদ্ধতির নাম পিআরপি (প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা)।

কী এই পিআরপি পদ্ধতি? পিজি হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিনের পিআরপি বিভাগের এইচওডি, চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, রোগীর শরীর থেকে প্রথমে ৪-৬ মি.লি রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এরপরে ওই সংগৃহীত রক্ত বিশেষ এক যন্ত্রে তীব্র গতিতে ঘোরানো হলে তাতে তৈরি হয় তিনটি স্তর। দুটি স্তর ফেলে দিলে তারই একটি স্তর হলো- প্ল্যাটিলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা বা পিআরপি।

বিজ্ঞাপন

 

 

বিজ্ঞাপন
মেডিসিন নয় ব্যথা কমাবে নিজের রক্ত

আপনি অর্থবান নন? দীর্ঘদিন ব্যথা বেদনায় ভুগছেন? ঘাড়ের ব্যথা, কোমরের ব্যথা অর্থাৎ শরীরের নানা জয়েন্টে ব্যথা এমনকি মাংসপেশিতে ব্যথা, এমন সব ব্যথার উপশম মিলতে পারে আপনার নিজের রক্তেই। তাও অস্ত্রোপচার ছাড়াই। এমন চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু হয়েছে কলকাতার পিজি (এসএসকেএম) হাসপাতালে। পদ্ধতির নাম পিআরপি (প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা)। ইউটিউব লিংকঃ Any video or video clip of Barta24.com re-uploading and displaying on any other facebook page or Youtube channel will be considered as a penal offense for information. Posted by Barta24 on Thursday, September 19, 2019

 

রোগীর আঘাত পাওয়া জায়গা বা ব্যথার জায়গা চিহ্নিত করে ইনজেকশনের মাধ্যমে সেখানে পিআরপি পুশ করা হয়। তিন থেকে চার সপ্তাহে অন্তত একবার রোগীকে ওই ইনজেকশন নিতে হবে। তাতেই নিস্তার পাবে ব্যথা থেকে।

সম্প্রতি এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার মাধ্যমে যন্ত্রণা থেকে নিস্তার মিলছে কলকাতার দৈনিক ইংরেজী পত্রিকার সাংবাদিক দেবাশীষ কোঙার। তিনি বলেন, ডান হাতের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে পড়েছিলাম। লেখালেখি তো দূরের কথা, বাড়ি থেকেই বের হতে পারছিলাম না। বাধ্য হয়ে অফিসিয়ালি ছুটি নিয়ে বাসায় বসে ছিলাম। খবর পেয়ে চিকিৎসা নিতে শুরু করেছি। দুই মাস চিকিৎসা নিচ্ছি। আগের থেকে অনেকটা ভালো আছি পিআরপি পদ্ধতি ব্যবহার করে। অফিসেও জয়েন করেছি। 

চিকিৎসা প্রসঙ্গে রাজেশ প্রামানিক বলেন, পিআরপি-র ভেতরে প্রচুর গ্রোথ ফ্যাক্টর থাকে। সেটাই ক্ষতস্থানকে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করছে। খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পায়ে আঘাত, লিগামেন্ট এবং কাঁধের শিরায় চোট পিআরপি পদ্ধতি প্রয়োগে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা, টেনিস এলবো এমনকি বেডসোলের মতো সমস্যায় এই পদ্ধতি ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নতুন চুলের জন্যও এ চিকিৎসায় ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া চিকিৎসক রাজেশ প্রামানিক বলেন, দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়ায় যেখানে চিকিৎসার জন্য বিপুল ব্যয় সেখানে ব্যথা নিরাময়ে এর থেকে সস্তা পদ্ধতি আর নেই। কারণ, মেডিসিন হলো নিজের শরীরের রক্ত। চিকিৎসা নিতে পারবে প্রেসার, সুগার, ইউরিক অ্যাসিডের মত ক্রনিক ডিডিজের রোগীরা। তবে রক্ত স্বল্পতা, ক্ষতস্থানে ইনফেকশন, হেপাটাইটিস, থাইরয়েডের রোগীদের ক্ষেত্রে পিআরপি পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাবে না ।

বাংলাদেশের রোগীদের নিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, বাংলাদেশের শেকড় আমাদেরও। যশোরের মানুষ ছিলো আমার দাদারা। বাংলাদেশি রোগীরা এখন আসা শুরু করেছেন। তারাও ভালো আছেন। অনেক পরিচিতি তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে। সুযোগ পেলে দেশটা ঘুরে আসবো। পিআরপি নিয়ে আমার জানা মতে বাংলাদেশে কেউ কাজ না করলেও অনেক নতুন চিকিৎসক বিষয়টা নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে।