নন্দীগ্রামে ফল ঘোষণা স্থগিত
দিদি না দাদা এই বিভ্রান্ত তৈরি হওয়ায় নন্দীগ্রাম আসনের ভোটের ফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বারের মতো সরকার গড়তে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২টি আসনের ভোট গণনায় দেখা গেছে ২১৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সবার নজর এখন নন্দীগ্রামে। কারণ এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। যিনি এক সময় দিদির কাছের মানুষ ছিলেন।
কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেই নন্দীগ্রামে ভোটের ফল নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার (০২ মে) সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২ আসনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। গত ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত আট দফায় রাজ্য বিধানসভার ২৯২ আসনে ভোট হয়। সেই নির্বাচনের ফলাফল আজ গণনা করা হচ্ছে।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে টানটান উত্তেজনা নন্দীগ্রাম। ১৭ রাউন্ড ভোটগণনার পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে জয়ী হয়েছেন বলে খবর আসে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়াতেই মমতার জয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এরপর খবর আসে দিদি নয় দাদা জয়ী হয়েছেন নন্দীগ্রামে।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, সার্ভারে সমস্যার জেরে সঠিক ভাবে কিছু জানা যাচ্ছিল না। তাই মমতাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। তার পরেই ১৬২২ ভোটে শুভেন্দুর জয়ের খবর আসে।
এ নিয়ে শুভেন্দু জানান, ১৬২২ ভোটে জিতেছি আমি। তারপর সাংবাদিক বৈঠকে নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম যা রায় দেব, মাথা পেতে নেব।
তবে নিজে হারলেও দলের জয়ের জন্য বাংলার মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, বাংলার জয়ের জন্য সকলকে অভিনন্দন। বাংলার জয়, মানুষের জয়। নন্দীগ্রামের মানুষ যা করেছেন, ভালো করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে ফলাফল নিয়ে এই বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, ‘আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে, রায় ঘোষণার পর কারচুপি হয়েছে।
এর আগে যদিও সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছিল, ১২০২ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা। সার্ভারের ত্রুটির জেরে দুপুরে এমনিতেই চল্লিশ মিনিট ভোটগণনা বন্ধ ছিল সেখানে। তার পর মমতার জয়ের খবর সামনে আসার পরও কোনও তথ্য প্রকাশ করতে পারেনি না কমিশন। তার পরেই জানা যায়, শুভেন্দু জয়ী হয়েছেন। তবে কমিশনের তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।