মক্কা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে করোনা হাসপাতাল
বুধবার (১৩ মে) মক্কা মোকাররমার আরাফাহ ময়দানের কোলঘেঁষে অবস্থিত উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবিদিয়া ক্যাম্পাসে ৫০০ শয্যার করোনা হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়েছে। মক্কার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহযোগিতায় হাসপাতালটি নির্মাণে সময় লেগেছে মাত্র ১৪ দিন।
করোনা মোকাবেলায় সতর্কতামূলক নানা ব্যবস্থা গ্রহণে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করায় দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেক্টর ড. ফরীদ আল-গামেদী। তিনি বলেন, দেশের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এ দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রধান সমন্বকারী ড. মুহাম্মদ আল-হাজেমি বলেন, মাত্র ১৪ দিনে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। এখানে বড় বড় চারটি হল রুম বানানো হয়েছে। যাতে ৫০০ শয্যার সঙ্কুলান অনায়াসেই হবে। এই প্রকল্পে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সুরক্ষার সব সরঞ্জাম নিশ্চিত করা হবে।
প্রথম ধাপে ২০০ বেডের মাধ্যমে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হবে। শুরু হতেই চিকিৎসার প্রদানের প্রয়োজনীয় বিভাগ, গবেষণাগার ও ফার্মেসীর ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া ভেন্টিলেটর থেকে শুরু করে চিকিৎসা প্রদানের সরঞ্জাম ও লোকবল থাকবে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে নাকাল পুরো বিশ্ব। এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন তিন লাখের বেশি মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ লাখেরও বেশি। সৌদি আরবেও করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। দেশটিতে সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে আরও আগেই। সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে সবকিছু। তবুও দিন দিন সংক্রমণ রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। সংক্রমিতদের চিকিৎসা সেবায় সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে দেশটির সরকার। নিরলসভাবে সেবা প্রদানে রাত-দিন ছুটে চলছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সরকারও স্বাস্থ্যকর্মীদের যাবতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করছেন। দেশের মানুষের চিকিৎসায় যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এপ্রিলের শেষের দিকে মক্কায় ১০০ শয্যার করোনা হাসপাতাল চালু করা হয়েছে।
১৫ মে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে আরও ২৩০৭ জন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। পাশাপাশি গেল ২৪ ঘন্টায় আরও মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এ নিয়ে সৌদি আরবে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯ হাজার ১৭৬ জনে। মৃতের সংখ্যা ২৯২ পৌঁছাল। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২১ হাজার ৮৬৯ জন।