পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববী ছাড়া সৌদির সব মসজিদে জামাত স্থগিত

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের মক্কা নগরী, ছবি: সংগৃহীত

রাতের মক্কা নগরী, ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে মক্কার পবিত্র কাবা ও মদিনার মসজিদে নববী ছাড়া দেশের সব মসজিদে জুমার নামাজসহ দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত স্থগিত করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাতে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) এ কথা জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এসপিএর খবরে বলা হয়েছে, বাড়ির বাইরে মুসল্লিরা কেবল মক্কার পবিত্র কাবা ও মদিনার মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

অবশ্য সৌদি আরবের কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারস জানিয়েছে, মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় স্থগিত থাকলেও মুয়াজ্জিনরা মসজিদে সময়মতো আজান দেবেন। মসজিদে নামাজ স্থগিতের বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলতে দেশটির মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এই কাউন্সিল বলছে, যেকোনো ধরণের গণ জমায়েতের মাধ্যমে কোভিড-১৯ রোগটি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সৌদি আরবের ফতোয়া বোর্ড বর্তমান মহামারি অবস্থায় সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া, জামাতে নামাজ আদায় কিংবা জুমার নামাজে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া দিয়েছে।

ওই ফতোয়ায় বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ের আলোচিত করোনা মহামারির কারণে বিভিন্ন দেশে মসজিদ ও জামাতে নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপরোক্ত পরিস্থিতিতে আমরা চারটি অবস্থায় বিবরণ করতে পারি। চারটি কারণেই একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মসজিদে নামাজ না পড়ে নিজ ঘরে নামাজ আদায় করবেন। জুমার নামাজে বাঁধা প্রদান করলে নিজ ঘরে জোহরের চার রাকাত নামাজ আদায় করবেন।

প্রথম অবস্থা: কেউ যদি এই মহামারি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তার জন্য মসজিদে গমন বা জামাতে গিয়ে নামাজ আদায় করা হারাম।

দ্বিতীয় অবস্থা: কেউ যদি কোয়ারেন্টাইনে থাকেন এবং অন্যকে ক্ষতি করার সম্ভাবনা রাখেন। তাহলে মসজিদে গমন থেকে বিরত থাকা উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চলে ওয়াজিব।

তৃতীয় অবস্থা: কেউ যদি অন্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয় করেন, তাহলে তার জন্য নিজ ঘরে নামাজ পড়ার অবকাশ রয়েছে। চাইলে জামাতে না গিয়ে ঘরে নামাজ আদায় করে নিতে পারেন।

চতুর্থ অবস্থা: কেউ পূর্ণ সুস্থ-সবল আছেন, কোনো ধরণের আশংকা কিংবা আতংক নেই। কিন্তু, সরকার মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে কিংবা নামাজ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি বাধ্যবাধকতা মেনে নেওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই।