সিরিয়ার ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদগুলো নামাজের উপযোগী করছে তুরস্ক

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যে ছবিটি দেখছেন, এটি সিরিয়ায় উমায়াদ মসজিদের ছবি। ৭১৫ সালে নির্মিত উমায়াদ মসজিদটিকে সিরিয়ার অন্যতম ‘মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনা’ বলা হতো। এটি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত। মসজিদটি গ্রেট মস্ক অফ দামেস্ক নামে সুপরিচিত। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মসজিদ। এমনকি জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাতেও এর নাম রয়েছে।

এই মসজিদে একসঙ্গে ৩ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটিতে তিনটি মিনার ও একটি গম্বুজ রয়েছে। বড় মিনারটি উচ্চতা ২৫৩ ফুট। এই মিনার থেকে আজান দেওয়া হয়। মসজিদটি বহুবার সংস্কার করা হয়েছে। ইট-পাথর ও কাঠের কাজ ছাড়াও বর্তমানে টাইলস, মার্বেল ও মোজাইক করা হয়েছে। যুগ ধরে বিভিন্ন ঘটনাবলীর সাক্ষী বহন করে চলেছে মসজিদটি। কারবালার ঐতিহাসিক ঘটনাবলী তার মধ্যে অন্যতম। কিন্তু সিরিয়ার চলমান যুদ্ধে এই মনোরম সুন্দর মসজিদ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

/uploads/files/inKyQP2zDUY23heC2CQFjJ8D3Cov9O9m8p066Doa.jpeg

এখন যে ছবিটি দেখছেন এটা ধ্বংসপ্রাপ্ত উমায়াদ মসজিদের ছবি। ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের ছবি দেখলে যে কারো মনেই কষ্ট লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। অথচ যুদ্ধের স্বাভাবিক রীতি মতে কোনো ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা করা নিষিদ্ধ, কিন্তু সিরিয়ার চলমান যুদ্ধে যুদ্ধনীতির থোরাই কেয়ার করা হয়েছে।

সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, কোনো এক পক্ষের হামলায় এসব মসজিদ ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে না। যুদ্ধের প্রায় সব পক্ষই এসব মসজিদ ধ্বংসের জন্য দায়ী।

আমেরিকান স্কুল অব অরিয়েন্টাল রিসার্চ নামের একটি সংস্থার গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হামলার ১৭ ভাগই সংঘটিত হয় নামাজের সময়। এভাবে সিরিয়ার যুদ্ধে মোটামুটি শতাধিক মসজিদ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ধ্বংসপ্রাপ্ত এমন ১০৮টি মসজিদ পুনরোদ্ধার ও মেরামতের কাজ করেছে একটি তুর্কি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির নাম দ্য টার্কিশ দিয়ানেট ফাউন্ডেশন (টিডিভি)।

তুর্কি সরকারের ধর্ম বিষয়ক দফতরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই প্রতিষ্ঠানটির পরিকল্পনায় রয়েছে বিধ্বস্ত মসজিদগুলোকে আবারও নামাজের উপযোগী করে তোলা।

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা বিশেষ করে জারাবলুস, আল রাই, আল-বাব আজাজ এলাকার মসজিদগুলোতে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেয় টিডিভি।

সিরিয়ার আজাজ এলাকার এক ধর্মীয় নেতা মসজিদের সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন, আমরা খুবই খুশি যে, তুরস্ক আমাদের মসজিদগুলোর সংস্কারের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। তারা এগুলো সংস্কার করে আবার নামাজের উপযোগী করে তুলেছে।