মসজিদে হারামে সহজে যাতায়াতের গেট

  • মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাদশা আবদুল আজিজ গেট, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বাদশা আবদুল আজিজ গেট, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পবিত্র কোরআনে কাবা ঘরকে বিশ্বের সবচেয়ে পবিত্র ও মূল্যবান স্থান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কাবা ঘরকে মাঝে রেখে মসজিদের হারাম নির্মাণ করা হয়েছে। কাবাঘর নির্মাণের পর থেকে নানা সময়ে মসজিদের হারামের সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ বিন আজিজ কর্তৃক সম্প্রসারণের পর ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী মসজিদে হারামের আয়তন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ বর্গ মিটার। স্বাভাবিক ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী এতে একসঙ্গে ৯ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে হজ বা রমজানের সময় অতিরিক্ত আরও ৪০ লাখ লোকের স্থান সংকুলান হয় মসজিদে হারামে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563016348541.jpg
বাদশা ফাহাদ গেট, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মসজিদের হারামে প্রবেশের জন্য ছোটবড় প্রায় দুই শ’ দরজা রয়েছে। হজমৌসুমে হাজিদের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সবগুলো দরজা খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ছোট-বড় দরজাগুলো দেখতে প্রায় এক রকম হওয়ায় অনেক সময় হাজি সাহেবরা নানারকম বিড়ম্বনায় পড়েন কাউকে খুঁজতে কিংবা নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে বের হতে অথবা প্রবেশ করতে। তাই দরজাসমূহের নাম ও নম্বর দেখে মসজিদে প্রবেশ ও বের হয়ে আসা সহজ। সবগুলো দরজায় আরবি ও ইংরেজিতে নাম লেখা এবং নম্বর দেওয়া আছে।

বিজ্ঞাপন

অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা গেছে, মসজিদে হারামে নামাজ আদায়, তাওয়াফ এবং সাই শেষ করে হাজিরা দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েন কোন গেট দিয়ে বের হবেন। যেহেতু মসজিদের হারামের চারপাশেই হাজি সাহেবরা থাকেন, তাই তাদের সহজে মসজিদে হারামে বের হতে ও প্রবেশ করার সুবিধার্থে এসব গেট ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563016400448.jpg
উমরা গেট, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

যেসব হাজি সাহেব মিসফালা, কেদুয়া, কংকারিয়া, জাহারাত কুদাই, শারে মানসুর, দাখেলা, খালেদিয়া, শওকিয়া, কাকিয়া, নাক্কাসা, দৌড়কুদাই এলাকায় হোটেলে থাকবেন তারা কিং আবদুল আজিজ গেট বা ১ নম্বর গেট দিয়ে যাতায়াত করবেন।

বিজ্ঞাপন

যারা গাজজা, জারওয়াল, জান্নাতুল মুয়াল্লা, জুম্মাইজা, রিয়াদা খালেদ, মসজিদে জিন ও মক্তব বলদিয়া এলাকায় থাকবেন, তারা ওমরা ও সাই শেষ করে মারওয়া গেট দিয়ে বের হয়ে আসবেন।

তাইসির, বিন লাদেন, হুতাইপিয়া ও জাবালে কুবা এলাকার যারা থাকবেন, তারা মসজিদে হারামে যাতায়াতের জন্য কাবা এক্সেটনশনের টানেল দিয়ে বের হয়ে আসবেন অথবা বাদশাহ আবদুল্লাহ গেট দিয়ে যাতায়াত করবেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563016440921.jpg
বাদশা আবদুল্লাহ এক্সটেনশন গেট, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আজিয়াত সৌদ, আজিয়াত মাসাফি, রিয়ালবখশ ও মাখবাতাল জিন এলাকায় থাকা হাজি সাহেবরা এক নম্বর গেট অথবা হজরত বেলাল গেট দিয়ে যাতায়াত করবেন।

মসজিদে হারামের দরজাসমূহের মধ্যে বাদশা আবদুল আজিজ গেট, বাদশাহ ফাহাদ গেট, আল ফাতাহ গেট ও ওমরাহ গেটকে প্রধান গেট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অন্য উল্লেখযোগ্য গেটগুলো হলো- আজইয়াদ গেট, হজরত বেলাল রা. গেট, হুনাইন গেট, হজরত ইসমাইল আ. গেট, সাফা গেট, বনি হাশেম গেট, হজরত আলী রা. গেট, হজরত আব্বাস রা. গেট, নবী করিম সা. গেট, আস সালাম গেট, শায়রা গেট, আল হুজুন গেট, উমলাত গেট, আল মুদ্দাআ গেট, আল মারওয়া গেট, আল মুহসাব গেট, আল আরাফাহ গেট, মিনা গেট, হজরত ওমর রা. গেট, আন নাদওয়া গেট, আস সামিয়া গেট, আল কুদস গেট, আল মদিনা গেট ও আল হুদায়বিয়া গেট।