বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়া অব্যাহত রাখবে সৌদি আরব
প্রতিদিন গড়ে ৪-৬ হাজার বাংলাদেশি কর্মীকে ভিসা দিচ্ছে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস। আগামী দিনে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়ার এ ধারা সৌদি আরব অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছেন ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত আবদুল আজিজ ফাহাদ এম আল ইব্রাহিম।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে ৩৭২ টন কোরবানির গোশত হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ নিশ্চয়তা দেন।
‘স্যাক্রিফিসিয়াল মিট ডিস্ট্রিবিউশন প্রজেক্ট’ শিরোনামে রাজধানীর বারিধারাস্থ সৌদি দূতাবাসে উপহারের গোশতের কার্টুনগুলো বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি। পবিত্র হজের সময়ে কোরবানি হওয়া ৪০ হাজার পশুর ৩৭২ টন গোশত বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে সৌদি আরব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ জামিলসহ বাংলাদেশ সরকারের একাধিক কর্মকর্তা এবং সৌদি দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এসব গোশত সৌদি আরবের বাদশাহ মোহাম্মদ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশিদের জন্য উপহার। এর মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যকার সুসম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলে অনুষ্ঠানে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা জানান, সৌদি আরব থেকে প্রাপ্ত ওই বিশেষ উপহার ৬৪টি জেলার ৯৫টি উপজেলার এতিমখানা, মাদরাসা ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
একই অনুষ্ঠানে সৌদি প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে ডেপুটি হেড অব মিশন বলেন, তাদের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। হওয়া মাত্র জানিয়ে দেওয়া হবে।
বর্তমানে সৌদি আরবে তিন মিলিয়ন বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে। গত মাসে বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজার কর্মী নিয়েছে সৌদি সরকার। যা গত ৩৫ মাসের মধ্যে কোনো একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ। উপসাগরীয় দেশটি তার ‘ভিশন- ২০৩০’ বাস্তবায়নে দেশজুড়ে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ২০৩৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক হবে রিয়াদ। সে উপলক্ষে বিউটিফিকেশনসহ বিশাল কর্মযজ্ঞ হবে। এতে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে বাড়তি জনশক্তি নেবে সৌদি আরব। বাংলাদেশিরাও সেখানে সুযোগ পেতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত চার দশক ধরে সৌদি আরবের হজের গোশত বিতরণের কার্যক্রম চলে আসছে। কার্যক্রমটি সফল করতে কাজ করেন ২৫ হাজারের বেশি দক্ষ কর্মী। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশের দুর্বল জনগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয় কোরবানির এই গোশত।