যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মুহাম্মাদ
মুসলিম উম্মাহর কাছে আবেগমাখা একটি নাম মুহাম্মাদ। বিগত কয়েক বছরে বিশ্বে উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ছে এই নাম। এবার ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম হচ্ছে ‘মুহাম্মাদ।’
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স ২০২৩ সালে শিশুদের নাম নিয়ে একটি সমীক্ষার পর এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ছেলে শিশুদের দেওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম ছিল মুহাম্মাদ। এর আগে ‘নোয়াহ’ নামটি শীর্ষে ছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইংল্যান্ডে ছেলে শিশুদের নামের মধ্যে নোয়াহ নামটি অধিকহারে ব্যবহার হতো। দ্বিতীয় ছিল মুহাম্মাদ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নোয়াহ নামকে টক্কর দিয়ে মুহাম্মাদ নামটি শীর্ষস্থান দখল করে।
মূলত ২০১৬ সাল থেকেই মুহাম্মাদ নাম সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০টি নামের মধ্যে রয়েছে এবং ২০২২ সালে এই নামটি জনপ্রিয়তার দিক থেকে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বলে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্সের বার্ষিক তালিকায় বলা হয়েছে।
অন্যদিকে জর্জকে সরিয়ে তৃতীয় জনপ্রিয় নাম হিসেবে স্থান পেয়েছে অলিভার। আর মেয়ে শিশুদের জন্য ২০২৩ সালে শীর্ষ তিনটি জনপ্রিয় নাম ছিল- অলিভিয়া, অ্যামেলিয়া এবং ইসলা। এই তিন নামই আগের বছরের থেকেই অপরিবর্তিত রয়েছে।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স বলেছে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন নাম, যেমন- চার্লস, জর্জ এবং হ্যারি বর্তমানে আগের তুলনায় কম জনপ্রিয়।
সংবাদ সংস্থার খবর, প্রতি বছর ওএনএস শিশুর নামের তথ্য বিশ্লেষণ করে যুক্তরাজ্যের সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং অজনপ্রিয় নাম প্রকাশ করে। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ৪ হাজার ৬৬১ জন জন্মগ্রহণ করেছেন, যাদের নাম ‘মুহাম্মাদ।’ এর আগের বছর সংখ্যাটি ছিল ৪ হাজার ১৭৭ জন। এর বিপরীতে ২০২৩ সালে মাত্র ৪ হাজার ৩৮২ জন ‘নোয়া’ নামে শিশুর জন্ম হয়েছে, যা আগের বছর ছিল ৪ হাজার ৫৮৬ জন।
মুহাম্মাদ নাম মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ও শ্রদ্ধার। এটা নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নাম হওয়ায় মুসলিম পরিবারগুলোর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
মুহাম্মাদ নামের শীর্ষে উঠে আসা যুক্তরাজ্যে মুসলিম কমিউনিটির শক্তিশালী অবস্থান ও তাদের ঐতিহ্য রক্ষার চিত্র ফুটিয়ে তোলে। মুহাম্মাদ নামের এই সাফল্য যুক্তরাজ্যের বহুজাতিক সংস্কৃতির একটি উদাহরণ। এটি শুধু মুসলিম কমিউনিটির মধ্যেই নয়, বরং দেশটির অন্যান্য ধর্মের মানুষের কাছেও একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠছে। এটি প্রমাণ করে যে, যুক্তরাজ্যে মুসলিম সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা দিন দিন বাড়ছে এবং দেশটি তার বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীকে আরও বেশি গ্রহণ করছে।