দ্রুত বিয়ের আমল
সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহতায়ালার কাছে কোনো কিছুর অভাব নেই। যে মহান আল্লাহর কাছে চায়, তার প্রতি তিনি খুশি হন। তার কল্যাণ যখন হবে তখনই সেটা দান করেন। বিয়েও এর ব্যতিক্রম কোনো বিষয় নয়। বিয়ের জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে সাহায্য চেয়ে কোনো আমল করতে চান, তাহলে আল্লাহপাক অবশ্যই মনের আশা পূরণ করবেন।
আমরা জানি, বিয়ে মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চারিত্রিক পবিত্রতা ও বংশধারা বজায় রাখার জন্য বিয়ের কোনো বিকল্প নেই। তা নবী-রাসুলদের সুন্নতও বটে। সহজে বিয়ে হওয়ার জন্য বেশি বেশি সালাতুল হাজত পড়ে দোয়া করা যায়।
বিশেষ করে কোরআন মাজিদে বর্ণিত একটি দোয়া পড়া উত্তম।
দোয়াটি হলো-
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ : রাব্বানা হাব লানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইউন, ওয়াজাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।
অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন, যারা আমাদের চোখ শীতলকারী হবে এবং আমাদেরকে আল্লাহভীরুদের জন্য আদর্শ করুন।’ -সুরা ফুরকান : ৭৪
অর্থাৎ এমন সুন্দর আদর্শস্বরূপ বানাও যে, সৎকাজে তারা যেন আমাদের অনুসরণ করে।
এ ছাড়া হাদিসে বর্ণিত বিশেষ দোয়াগুলো ও আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর আমলও করা যেতে পারে।
তবে মনে রাখতে হবে, কেউ বিয়ে করতে আগ্রহী হলে তার উচিত হলো- বিয়ে করার সামর্থ্য ও যোগ্যতা অর্জন করা। কারণ ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী অযোগ্যের সঙ্গে কেউ আত্মীয়তা করবে না। যত দিন তা অর্জন না হয়, তারা রোজা রাখতে পারে। ইনশাআল্লাহ- আল্লাহ তাদের সাহায্য করবেন।
এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিয়ের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিয়ে করে, আর যে ব্যক্তি বিয়ের সামর্থ্য না রাখে সে যেন রোজাপালন করে। কেননা রোজা তার কামভাবকে দমন করবে।’ -সুনানে নাসায়ি : ২২৪১