নবীজীর শাফায়াত লাভের আমল

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক, ছবি: সংগৃহীত

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক, ছবি: সংগৃহীত

দরূদের মাধ্যমে যেভাবে দয়াময় আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভ হয় তেমনি এর মাধ্যমে অর্জিত হয় নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নৈকট্য। হাদিসে নবীজী (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আমার নৈকট্য লাভ করবে ওই ব্যক্তি, যে আমার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করে।’ -জামে তিরমিজি : ৪৮৪

নবী কারিম (সা.)-এর প্রতি মহব্বত ও ভালোবাসা প্রকাশের একটা মাধ্যম হলো- অধিক পরিমাণে দরূদ পেশ করা। অতএব যে নবীজীকে মহব্বত করবেন, রহমতের নবী তাকে স্নেহের সঙ্গে গ্রহণ করে নেবেন- তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে কেয়ামতের বিভীষিকাময় মুহূর্তে নবীজী (সা.) তাকে ভুলে বসবেন- তা কি ভাবা যায়! এ বিষয়টিই উল্লেখিত হয়েছে আলোচ্য হাদিসে।

বিজ্ঞাপন

কেয়ামতের দিন নবীজীর নৈকট্য লাভ করার একটি অর্থ হলো, কেয়ামতের দিন সে নবীজীর শাফায়াত লাভে ধন্য হবে- ইনশাআল্লাহ।

অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে আমার প্রতি সকালে দশবার আর সন্ধ্যায় দশবার দরূদ পড়বে, কেয়ামতের দিন সে আমার শাফায়াত লাভ করবে। -আত তারগিব ওয়াততারহিব : ৯৮৭

আল্লামা মুনাভি (রহ.) বলেন, অর্থাৎ সে নবীজীর বিশেষ শাফায়াত লাভ করবে।

হাদিসে বলা হয়েছে, এ আমল পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিয়োজিত রয়েছে ফেরেশতাদের বিশেষ জামাত। আমরা যখন নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে দরূদ ও সালাম পেশ করি, তখন তা পৌঁছে যায় প্রিয় নবীজীর রওজা মোবারকে সোনার মদিনায়। যে যেখানে যত দূরেই অবস্থান করুক না কেন। বান্দার দরূদের হাদিয়া পৌঁছে দেওয়ার জন্য আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে নিযুক্ত রয়েছে ফেরেশতাদের বিশেষ জামাত।

নবীজী (সা.) বলেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে জমিনে বিচরণকারী ফেরেশতারা নিযুক্ত রয়েছেন। তারা আমার উম্মতের পক্ষ থেকে আমার নিকট সালাম পৌঁছায়। -সুনানে নাসাঈ : ১২৮২

বর্ণনায় আরও পাওয়া যায় যে, দায়িত্বশীল ফেরেশতা দরূদ পেশকারীর নাম ও পিতার নামসহ দরূদের হাদিয়া নবীজীর খেদমতে পেশ করেন। কেয়ামত পর্যন্ত সবার দরূদ নবীজীর খেদমতে এভাবে পেশ করা হতে থাকবে। -মুসনাদে বাযযার : ১৪২৫

তাই উম্মতের কর্তব্য হচ্ছে, দরূদের হাদিয়ার মাধ্যমে নবীজীর নিকট নিজেকে বেশি বেশি পেশ করা। এই উপলব্ধি নিয়ে যদি দরূদ পড়া হয়, তাহলে নবীজীর প্রতি ভালোবাসাও বাড়তে থাকবে- ইনশাআল্লাহ।

দরূদের আমল আল্লাহতায়ালার নিকট অত্যন্ত প্রিয়। দরূদের উসিলায় আল্লাহতায়ালা বান্দার দোয়া কবুল করেন। হজরত উমর (রা.) বলেন, আসমান জমিনের মাঝে দোয়া ঝুলন্ত থাকে। তুমি তোমার নবীর প্রতি দরূদ পেশ করা পর্যন্ত তা ওপরে ওঠে না। -জামে তিরমিজি : ৪৮৬

তাই দোয়া করার একটি আদব হচ্ছে, দোয়ার সূচনা-সমাপ্তি দরূদের মাধ্যমে করা।