রাসুলের রওজা জিয়ারতে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা ব্যারো মসজিদে নববিতে নফল নামাজ আদায় এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মোবরাক জিয়ারত করে সালাম পেশ করেছেন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সৌদি সংবাদ সংস্থা (এসপিএ) জানায়, গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট রাসুলের রওজায় সালাম পেশের পর দুই সাহাবি হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও হজরত উমর (রা.)-এর কবরও জিয়ারত করেন।
গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় মদিনার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সৌদ বিন খালিদ আল-ফয়সাল, পুলিশ কমান্ডার মেজর জেনারেল ইউসুফ বিন আবদুল্লাহ আল-জাহরানি এবং রাজকীয় প্রটোকল অফিসের পরিচালক ইবরাহিম বিন আবদুল্লাহবারীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১০ হাজার ৩৮০ বর্গকিলোমিটারের দেশ গাম্বিয়া। দেশটির মোট জনসংখ্যা বাংলাদেশের একটি জেলারও কম, মাত্র ২২ লাখ। পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট এই দেশটির রাষ্ট্রীয় নাম গাম্বিয়া ইসলামি প্রজাতন্ত্র। এটি আফ্রিকা মহাদেশের মূল ভূখন্ডের ক্ষুদ্রতম দেশ। বন্দর শহর বানজুল দেশটির রাজধানী আর সেরেকুন্দা দেশের বৃহত্তম শহর।
গাম্বিয়ার জনসংখ্যার শতকরা ৯৫ ভাগ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। মুসলিমদের পাশাপাশি দেশটিতে রোমান ক্যাথলিক এবং প্রোটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায়ের খ্রিস্টানরাও বসবাস করেন।
২০১৫ সালের ১১ ডিসেম্বর দেশটিকে ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জাম্মেহ এ ঘোষণা দেন। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হলে দেশটিতে অন্য ধর্মের অনুসারীরা তাদের ধর্মকর্ম স্বাধীনভাবে পালন করেন। গাম্বিয়ায় কর্মস্থলে নারীদের চুল খোলা রাখা নিষিদ্ধ। রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষায় গাম্বিয়ায় নাচ-গান এবং ড্রামসহ সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজানোও নিষেধ।
গাম্বিয়াতে বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন মসজিদ রয়েছে। কিং ফাহাদ মসজিদ গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলের অন্যতম প্রধান মসজিদ। মসজিদটি ১৯৮৮ সালে নির্মিত হয়।
গাম্বিয়ায় প্রথম মসজিদ নির্মিত হয় ১৯৩০ সালে। এছাড়া রাজধানী বানজুল, সেরেকুন্দা ও ডেম্বাকুন্দা শহরেও বেশ কিছু মসজিদ রয়েছে। বেশিরভাগ মসজিদ বিভিন্ন মুসলিম দেশের অর্থায়নে নির্মিত।
গাম্বিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার প্রথম থেকেই কোরআন মাজিদ ও ইসলাম শিক্ষা রয়েছে। শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে ইসলামকে প্রাধান্য দিয়ে। প্রায় প্রতি পরিবারে রয়েছে কোরআনের হাফেজ। বাচ্চাদের কোরআন শিক্ষা দেওয়া তাদের ঐতিহ্যের অংশবিশেষ। কোরআনিক স্কুলে তারা পৃষ্ঠপোষকতা করে বেশ গুরুত্ব দিয়ে।