নবীজির যেসব নাম কোরআনে বর্ণিত হয়েছে
কখনও মহান আল্লাহ তার প্রিয় বন্ধুকে ‘রহমত’ বলে সম্বোধন করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাকে (রাহমাতাল লিল আলামিন) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি।’ -সুরা আম্বিয়া : ১০৭
মহান আল্লাহ তার প্রিয় বন্ধুকে আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন নেয়ামতস্বরূপ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ওয়াজকুরু নিমাতাল্লাহি আলাইকুম’- তোমরা তোমাদের ওপর আল্লাহর নেয়ামতকে স্মরণ করো। -সুরা আলে ইমরান : ১০৩
কিছু তাফসিরবিদের মতে, এখানে ‘নেয়ামত’ দ্বারা হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কথা বলা হয়েছে।
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে নবী! আমি আপনাকে পাঠিয়েছি ‘শাহেদ’ সাক্ষ্যদাতা, ‘মুবাসসির’ সুসংবাদদাতা ও ‘নাজির’ সতর্ককারীরূপে।’ -সুরা আহজাব : ৪৫
ওই আয়াতে মহান আল্লাহ তার প্রিয় বন্ধুকে তিনটি নামে সম্বোধন করেছেন। শাহেদ, মুবাসসির ও নাজির।
এর পরের আয়াতেই মহান আল্লাহ তার প্রিয় বন্ধুকে আরও দুটি নামে সম্বোধন করেন- ১. ‘দায়ি ইলাল্লাহ।’ ২. ‘সিরাজাম মুনিরা।’ ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহর অনুমতিক্রমে (দায়ি ইলাল্লাহ) তার দিকে আহ্বানকারী ও (সিরাজাম মুনিরা) উজ্জ্বল প্রদীপরূপে। -সুরা আহজাব : ৪৬
আন নাবিয়্যুল উম্মি : ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা অনুসরণ করে রাসুলের। যিনি উম্মি নবী।’ -সুরা আরাফ : ১৫৭
এই আয়াতে মহান আল্লাহ নবী কারিম (সা.)-কে ‘আন নাবিয়্যুল উম্মি’ বলে সম্বোধন করেছেন।
কখনও মহান আল্লাহ তার প্রিয় বন্ধুকে ‘মুজ্জাম্মিল’ বলে সম্বোধন করেছেন। ‘মুজ্জাম্মিল’ মানে হলো- চাদরে আবৃত ব্যক্তি। একবার হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) চাদরে আবৃত ছিলেন। সেই সময় আয়াত নাজিল হলো, ‘ইয়া আইয়্যুহাল মুজ্জাম্মিল’- হে বস্ত্রাবৃত! -সুরা মুজ্জাম্মিল : ১
আবার কখনও সম্বোধন করেছেন ‘মুদ্দাসসির’ বলে, যার অর্থ হলো- বস্ত্রাবৃত। ইরশাদ হয়েছে, ‘ইয়া আইয়্যুহাল মুদ্দাসসির’-হে বস্ত্রাবৃত! -সুরা মুদ্দাসসির : ১
কখনও সম্বোধন করেছেন, ‘আমিন’ বলে, যার অর্থ বিশ্বস্ত। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই কোরআন সম্মানিত রাসুলের আনীত বাণী। যে শক্তিশালী আরশের মালিক, আল্লাহর কাছে মর্যাদাসম্পন্ন। মান্যবর ও বিশ্বাসভাজন। -সুরা তাকভির : ১৯-২১
এ ছাড়া মহান আল্লাহ তার প্রিয় নবীকে ‘হাদি’, ‘খাতামুন নাবিয়্যিন’ ইত্যাদি নামে সম্বোধন করেছেন।