যে কারণে নবী কারিম (সা.)-এর জীবনী জানা প্রয়োজন
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র মাস রবিউল আউয়াল। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসেই পৃথিবীতে আগমন করেন। এ মাসের ১২ তারিখে ইহজগতের মানুষের কল্যাণে পথ প্রদর্শন করতে মহান রাব্বুল আলামিন মা আমেনার গর্ভ থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন এ মহামানবকে। পৃথিবীর মানুষ যখন নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে পশুত্বের রুপ ধারণ করে চলছিল, ঠিক সেই সময়ে একজন রাসূল হিসাবে মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়াতে আগমন করেন।
গর্ভে থাকা অবস্থায় তিনি পিতা আবদুল্লাহকে হারান এবং শিশুকালেই তিনি মাকে হারিয়ে চাচার কাছে লালিত পালিত হন। মানুষের ভালোবাসায় শিশু মুহাম্মদ (সা.) বড় হতে থাকেন। ছোট সময় থেকেই তার মেধা, যোগ্যতা ও আমানতদারিতার কারণে এলাকায় তিনি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে মক্কার লোকেরা তাকে আল আমিন উপাধিতে ভূষিত করেন। সবাই তার কাছে ধন সম্পদ আমানত রাখেন এবং বিভিন্ন সমস্যায় তার কাছ থেকে সমাধান গ্রহণ করেন।
নবুওয়ত প্রাপ্তির পর পূর্ব থেকে চলে আসা মূর্তিপূজার বিরোধিতা করার কারণে সর্বপ্রথম তিনি প্রতিরোধের মুখে পড়েন। গোটা জিন্দেগি তিনি নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও তিনি আল্লাহর একত্ববাদ প্রচার করে যান। তার জীবনে বহু ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তিনি আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। মদিনায় মদিনা সনদ প্রণয়নের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান প্রণেতা হিসাবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তার জীবনী থেকে সব বিষয়ে শিক্ষণীয় রয়েছে। তাই এ মাসে মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী জানা সবার প্রয়োজন। কারণ, নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা ঈমানের অংশ।
আর ভালোবাসার প্রকাশ হবে তার আনুগত্যের মাধ্যমে। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী! আপনি বলে দিন যে যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তাহলে আমার অনুকরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন।’ -সুরা আলে ইমরান : ৩১
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন আনুগত্যের জন্য সর্বোত্তম ব্যক্তি। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের জীবনেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।’ -সুরা আহজাব : ২১
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আপনি উত্তম চরিত্রের ওপর অধিষ্ঠিত।’ -সুরা কালাম : ৪
মহানবী (সা.)-এর আনুগত্যের মাধ্যমেই মানুষ অন্ধকার থেকে আলোর পথ লাভ করতে পারবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এটি একটি গ্রন্থ, যা আমি আপনার প্রতি নাজিল করেছি, যাতে আপনি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন, পরাক্রান্ত ও প্রশংসার যোগ্য রবের নির্দেশে তারই পথের দিকে।’ -সুরা ইবরাহিম : ১