বিশ্বে সাড়া জাগিয়েছে হালাল ট্যুরিজম

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মসজিদে রূপান্তরের পর আয়া সোফিয়ায় বেড়েছে পর্যটক, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে রূপান্তরের পর আয়া সোফিয়ায় বেড়েছে পর্যটক, ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বে সাড়া জাগিয়েছে হালাল ট্যুরিজম। বিশ্ব পর্যটন শিল্পের এই নতুন সম্ভাবনা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের চাহিদাকে উপজীব্য করেই দ্রুত বেড়ে উঠছে। এক হিসেবে দেখা গেছে, পবিত্র হজ ও উমরা বাদে মুসলমানরা পর্যটনের জন্য ব্যয় করেছে ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার, যা বিশ্বের মোট পর্যটন ব্যয়ের ১১ শতাংশ। মাঝখানে বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন আবার হাওয়া লেগেছে এই শিল্পে।

ইসলামের মূলনীতি মেনে চলা মুসলমানদের জন্য সাধারণ পর্যটন গন্তব্যগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিব্রতকর। বিশেষ করে খাবার, ঘুরাঘুরি ও রাতযাপনের বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বিমানের টিকেটিং থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা ও পরিবার নিয়ে সুস্থ বিনোদনের জন্য নিজেদের জীবনধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নানা অবস্থার মুখোমুখি হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সেই সমস্যার সমাধান দিচ্ছে হালাল ট্যুরিজম, তারা ইসলামি রীতি মেনে সব আয়োজন করছে।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে হালাল ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করা বিশ্বের এক নম্বর প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরভিত্তিক ‘হালাল ট্রিপ’ ধারণা করছে ২০২৮ সালের মধ্যে হালাল ট্যুরিজমের বাজার হবে প্রায় ২২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের।

হালাল ট্যুরিজমের আবির্ভাব যুক্তরাষ্ট্রের নাইন-ইলেভেন ঘটনার পর। তুরস্ক, মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া প্রথম হালাল টুরিজম প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ওঠে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপি হালাল হোটেলের পরিসর অনেক বেড়েছে। বিমান সংস্থাগুলোও হালাল খাদ্য পরিবেশন করছে। আর এ জন্যই হালাল ব্রান্ডিংয়ের ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার সৃষ্টি হয়েছে। এই টুরিজমের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি গন্তব্য হলো- তুরস্ক ও মিসর। এর বাইরে উজবেকিস্তান নতুনভাবে পর্যটনপ্রিয় মানুষের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে।