ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়াও ইবাদত

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জীবনে অন্তত একবার আপনি যাদের অনুগ্রহপ্রাপ্ত হয়েছেন, ছবি : সংগৃহীত

জীবনে অন্তত একবার আপনি যাদের অনুগ্রহপ্রাপ্ত হয়েছেন, ছবি : সংগৃহীত

মুমিন নিজে যেমন ভালো কাজ করতে ভালোবাসে, তেমনি অন্যকেও ভালো কাজে উৎসাহিত করে। কারণ আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের এই শিক্ষাই দিয়েছেন।

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি সৎপথের দিকে ডাকবে, সে তার অনুসারীর সমান সওয়াব পাবে। অথচ অনুসরণকারীর সওয়াব কমানো হবে না।’ প্রকৃত মুমিনরা সর্বদা ভালো কাজে আত্মনিয়োগের চেষ্টা করে এবং অন্যকে ভালো কাজের দিকে আহ্বান করে।

বিজ্ঞাপন

আসুন, সবাই ফরজ ইবাতদের পাশাপাশি নফল ইবাদতে সাধ্যমতো ভালো করার চেষ্টা করি। ইচ্ছা করলে আমরা কষ্ট ছাড়া সহজে যেসব ভালো কাজ করতে পারি-

যার প্রতি আপনার হিংসা কিংবা পার্থিব প্রতিযোগিতা আছে, তার উন্নতির জন্য দোয়া করুন। সবার সঙ্গে সাধ্যমতো হাসিমুখে সাক্ষাৎ করুন ও কথা বলুন। কোনো অভাবীকে একবেলা খাবার কিনে দিন। পিতা-মাতা ও পরিবারের কাজে সাহায্য করুন। যার সঙ্গে আপনার মনোমালিন্য আছে, তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করুন। একজন এতিমের মাথায় হাত বুলান, তাকে স্নেহ করুন এবং কিছু উপহার দিন।

কেউ যদি আপনার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়, আপনি সঠিক হওয়া সত্ত্বেও এড়িয়ে যান। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করুন, যেমন কাউকে টাকা ভাংতি দিন; পথ দেখিয়ে দিন। ঋণগ্রহীতার ঋণের কিছু অংশ মাফ করে দিন এবং আল্লাহর কাছে তার বিনিময় প্রত্যাশা করুন। বাসায় প্রবেশের পর পেশাগত কাজের ভাবনা ও ব্যস্ততা পরিহার করে পরিবারকে সময় দিন।

বাড়ি, মসজিদ, রাস্তা কিংবা এতিমখানা পরিষ্কারের কাজে সশরীরে অংশগ্রহণ করুন। যারা আপনাকে কষ্ট দিয়েছে তাদের আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ক্ষমা করুন এবং সম্প্রীতি স্থাপন করুন। সময়-সুযোগ হলে অধীনস্তদের কাজের বোঝা কমিয়ে দিন অথবা অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিন। অনলাইন কিংবা অফলাইনে বিতর্ক-বচসা পরিহার করুন।

যে বৈঠকে পরচর্চা হয়, ওই বৈঠক পরিত্যাগ করুন। জীবনে অন্তত একবার আপনি যাদের অনুগ্রহপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের জন্য দোয়া করুন। সময় পেলে কোনো বয়োজ্যেষ্ঠ কিংবা কোনো রোগী দেখতে যান। রাস্তাঘাট এবং পাবলিক প্লেসে টিস্যু এবং কোনো কিছুর খোসা ইত্যাদি ফেলা থেকে বিরত থাকুন।