৯ বছরেই কোরআনের হাফেজ হলেন সিয়াম

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

৯ বছরেই কোরআনের হাফেজ সিয়াম

৯ বছরেই কোরআনের হাফেজ সিয়াম

পবিত্র কোরআনই একমাত্র কিতাব, যেটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুখস্থ করা হয়। কোরআনে কারিম মুখস্থকারীর জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নানা পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। একাধিক হাদিসে কোরআন তেলওয়াতকারী, কোরআনের হাফেজ ও কোরআনের ধারক-বাহকদের মার্যাদার কথা বলা হয়েছে। এসব হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, পবিত্র কোরআনের ধারক-বাহকদের সম্মানের কথা।

বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্মের প্রতি মমত্ববোধ এবং আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য নিজে যেমন কোরআন তেলাওয়াত শিখেন, তেমনি সন্তানদের শেখান। অনেকে আবার সন্তানদের পবিত্র কোরআনের হাফেজ বানান।

বিজ্ঞাপন

শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের আনাচে-বানাচে রয়েছে লাখ লাখ হাফেজ। বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী কোরআনের হাফেজ হন। অবাক করার মতো বিষয় হলো, বিপুল সংখ্যক কোরআনের হাফেজদের নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। কেউ বুড়ো বয়সে, কেউ কিশোর বয়সে, কেউ আবার শিশু অবস্থায় কোরআন মুখস্থ করছেন। অন্ধ, নারী এমনকি শুধু শুনে শুনে কোরআন মুখস্থ করার নজির রয়েছে। পবিত্র কোরআন মুখস্থ করার যেমেন নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই, তেমনি দিনে কিংবা মাসে কে কতটুকু মুখস্থ করবে তারও বিধি-নিষেধ নেই। এভাবেই বাংলাদেশের অনেনে অল্প বয়সে, কম সময়ে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হচ্ছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র ৫ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছেন কুমিল্লা জেলা শহরের মোগলটুলীতে অবস্থিত ব্যতিক্রমী ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আন নূর তাহফিজ মাদরাসার ছাত্র সিয়াম।

চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ৯ বছর বয়সী এই শিশুর হেফজ সম্পন্ন হয়। সিয়ামের হেফজের শেষ সবক শোনেন হাফেজ মাওলানা মুফতি ফাহিম আহমাদ ফাহাদ।

সিয়াম কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার লোনা গ্রামের বাসিন্দা মো. হায়াতুল্লাহর বড় ছেলে। তিন ভাইয়ের সংসারে সিয়াম সবার বড়।

আন নূর তাহফিজ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুস সালাম আইয়ূবী জানান, ২০২০ সালে সিয়াম নাজেরা বিভাগে ভর্তি হন। অল্প সময়ের মধ্যেই নাজেরা সহিহশুদ্ধভাবে শেষ করে হিফজ শুরু করেন। হিফজ শুরুর পরই তার উস্তাদরা তার মাঝে মেধার দ্যুতি দেখতে পান। সিয়াম মাত্র ৫ মাসে কোরআনের হিফজ সমাপ্ত করেছে- আলহামদুলিল্লাহ।

অল্প সময়ে কোরআনের হাফেজ হলেও শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সিয়াম খুবই চঞ্চল প্রকৃতির ছেলে। যদি একমনে সময় কাজে লাগাত, তাহলে তার পক্ষে আরও অল্প সময়ের মধ্যে হাফেজ হওয়া সম্ভব ছিল। কেননা, সে শেষদিকে দিনে ১৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত মুখস্থ শুনিয়েছে।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা জেলা শহরের মোগলটুলীতে অবস্থিত ব্যতিক্রমী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আন নূর তাহফিজ মাদরাসাটি ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হলেন আলহাজ্ব মাওলানা আবুল কালাম। ১১ জন শিক্ষকের অধীনে হিফজ ও নুরানী বিভাগসহ অন্য বিভাগে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে।