ইসলাম অনুসরণেই শান্তি ও সফলতা
আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর কাছে মনোনীত দ্বীন হলো- একমাত্র ইসলাম।’ আল্লাহতায়ালা আরও ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর রাসুলের জীবনাদর্শে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।’
আল্লাহতায়ালার মনোনীত দ্বীন ইসলাম এবং হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একমাত্র পরিপূর্ণ আদর্শ। এ বিষয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ করলে সে নিজেকে মুসলমান পরিচয় দিলেও মুসলমান হবে না। কেউ ইসলাম ও রাসুলে কারিম (সা.) কে বাদ দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি, সফলতা তালাশ করলে তার শান্তি ও সফলতা অর্জন হবে না বরং সে ব্যক্তি হয়তো ইসলাম ও রাসুলের অনুসারী দাবি করে মুনাফিকি করছে অথবা সেই ব্যক্তি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ও ইসলাম সম্পর্কে পরিপূর্ণ অজ্ঞ।
ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণেই শান্তি ও সফলতা নিহিত। বর্তমান বিশ্বের মুসলমানদের দিকে তাকালে দেখা যাবে, বহু মুসলমান ইসলাম ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণ ছেড়ে দিয়েছে কিংবা ইসলামকে খন্ডিতভাবে অনুসরণ করছে। যার কারণে শান্তি ও সফলতা থেকে বঞ্চিত হয়ে হতাশার মধ্যে আছে। মনে মনে ধারণা করছে, মুসলমান হওয়ার কারণেই তাদের এই পরিণতি। অথচ মুসলমানের এই পরিণতির কারণ হলো- ইসলাম ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণ ছেড়ে দেওয়া কিংবা খণ্ডিতভাবে অনুসরণ করা।
আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো।’ অন্য আয়াতে আছে, ‘তোমরা কি আল্লাহর কিতাবের অংশ বিশেষের ওপর ঈমান এনেছো এবং অংশ বিশেষকে অস্বীকার করেছো।’ এমন খন্ডিত বিশ্বাসের শাস্তি হলো- দুনিয়াতে লাঞ্ছনা-বঞ্চনা এবং কেয়ামতের দিন নিজেকে কঠিন আজাবের দিকে ঠেলে দেওয়া।
ইসলামকে খন্ডিতভাবে অনুসরণ করার কারণে কোরআনে মুসলমানের যেই পরিণতির কথা বলা হয়েছে, মুসলমান সেই পরিণতি ভোগ করতেছে। সুতরাং ইহকালে পরকালে শান্তি ও সফলতা অর্জন করতে চাইলে ইসলাম ও রাসুলে পাক (সা.) কে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে।
বলা হয়েছে, ইসলামের কল্যাণময়ী বিধানের প্রতি অবহেলার কারণে প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের অশান্তি আর অস্থিরতা সীমাহীনভাবে বাড়বে। মানুষ পৃথিবী নামক গ্রহকে বসবাসের অনুপযোগী মনে করতে শুরু করছে। কারণ শ্রেষ্ঠজীব মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের বিকল্প নেই। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় এসব জিনিসপত্রের মূল্য ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। দ্রব্যমূল্যের পাগলাঘোড়া ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে তো ছুটছেই। দৈনন্দিন পারিবারিক চাহিদা মেটাতে পরিবার প্রধানরা হিমশিম খাচ্ছেন। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এবং অস্বচ্ছল জনসাধারণ কষ্টের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে কেউ অসৎ পন্থা অবলম্বন করছে আবার কেউ আত্মহত্যা করছে। অনেকেই নিজের দুগ্ধপোষ্য সন্তান বিক্রি করে পাগল হয়ে পথে পথে ঘুরছে বলেও গণমাধ্যমে খবর বিরেয়েছে। এমন অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমন অবস্থা পরিবর্তনে দরকার রাসুলের আদর্শের অনুসরণ ও ইসলামকে মেনে চলা। আল্লাহতায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।