জমজমের কন্টেইনার ফিরল মসজিদে হারামে

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জমজমের কন্টেইনার ফিরল মসজিদে হারামে

জমজমের কন্টেইনার ফিরল মসজিদে হারামে

দীর্ঘ ১৮ মাসেরও বেশি সময় বিরতির পর মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ তথা মসজিদে হারামে স্থাপিত মার্বেল পাথরের ওপরে রাখা জমজমের পানি ভরা পাত্রগুলো আবারও ওমরাযাত্রী এবং মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত হলো। এখন থেকে ওমরা পালনকারীরা নিজেদের ইচ্ছামতো ঠাণ্ডা কিংবা স্বাভাবিক তাপমাত্রার জমজমের পানি পানি করতে পারবেন।

হারামাইন পরিচালনা পরিষদ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরে মুসল্লি ও ওমরাযাত্রীদের পরিবেশনের জন্য মসজিদে হারামে জমজমের পানির ১৫৫টি স্থায়ী পানি পানের জায়গা (মাশরাবিয়া) এবং ২০ হাজার কন্টেইনার পুনরায় স্থাপন করেছে। এসব কন্টেইনার মসজিদে হারামের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০২০ সালের প্রথম দিকে কোভিড-১৯ মহামারি প্রাদুর্ভাবের পর কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। মহামারি চলাকালে প্রেসিডেন্সি বিপুল সংখ্যক কর্মী নিযুক্ত কর হয় পবিত্র পানিকে সীলমোহর, জীবাণুমুক্ত এবং একক ব্যবহারের বোতলে ভরে মাতাফে (পবিত্র কাবার তাওয়াফের এলাকা), মাসা (সাফা এবং মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে দৌঁড়ানোর জায়গা), পাশাপাশি গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরের বিভিন্ন স্থানে বিতরণের জন্য। এভাবেই এতদিন জমজম বিতরণ করা হচ্ছিল। এরই মাঝে জমজম বিতরণের জন্য বিশেষ রোবট প্রযুক্তিও ব্যবহার করে হারামাইন কর্তৃপক্ষ।

হারামাইন পরিষদের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আল জাবরি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকাদানের হার বৃদ্ধির পর মাশরাবিয়া এবং কন্টেইনার পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত ওমরাযাত্রী এবং গ্র্যান্ড মসজিদে জিয়ারতকারীদের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এবং প্রতিরোধমূলক প্রোটোকল মেনেই নেওয়া হয়েছে।’

ওমরাযাত্রী ও মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জমজমের পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা হয়। গ্র্যান্ড মসজিদে জমজম পানি পরিবেশন বিভাগের পরিচালক আবদুর রহমান আল জাহরানি বলেন, ‘তার বিভাগ মসজিদে জিয়ারতকারীদের নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে পাত্র পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টা করে। ধোয়ার প্রক্রিয়াটি পাঁচটি ধাপের মধ্য দিয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘পরিষ্কার করার জন্য একটি নির্দিষ্ট, সুগন্ধিমুক্ত সাবান ব্যবহার করা হয়। পর্যায়গুলোর মধ্যে রয়েছে জীবাণুমুক্তকরণ, শুকানো এবং সংরক্ষণ করা। পানির কন্টেইনারগুলো নির্দিষ্ট গাড়িতে করে গ্র্যান্ড মসজিদের ফিলিং পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশেষ যন্ত্রপাতির সাহায্যে পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই কাজে নিয়োজিত কর্মীরা বেশ চৌকস ও সচেতন।