মঙ্গলবার থেকে জমজমের পানি বিতরণ শুরু
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে পবিত্র জমজম কূপের পানি বিতরণ বন্ধ রেখেছিল সৌদি আরব। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) থেকে নতুন করে আবারও মক্কার কুদাই এলাকায় অবস্থিত কিং আবদুল্লাহ প্রজেক্ট থেকে জমজমের পানি বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় পানি বিতরণ সংস্থা মঙ্গলবার থেকে গ্রাহকদের জন্য তাদের দ্বার উন্মুক্ত করে দেবে। রমজান মাসে জমজমের পানির চাহিদা বেড়ে যায়, সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
হারামাইন প্রেসিডেন্সির চেয়ারম্যান ও মসজিদে হারামের প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস জানিয়েছেন, রমজানে শুক্রবার ছাড়া অন্য সব দিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জমজম কূপের পানি বিতরণ করা হবে।
ভ্যাটসহ পাঁচ লিটার জমজমের একটি বোতল ৫ দশমিক ৫ রিয়ালে পাওয়া যাবে। ১৫ দিন পর পর যে কেউ সর্বোচ্চ চার বোতল পানি সংগ্রহ করতে পারবেন।
ওই প্রকল্পের আওতায় থাকায় কাস্টমার সেন্টারে একসঙ্গে ৬০ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। করোনা মহামারির কারণেই সেখানে লোকজনের চলাচলে সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে।
খবরে আরও বলা হয়, কুদাই এলাকায় অবস্থিত পানি বিতরণ প্রকল্পের সদর দফতর থেকেও জমজমের পানির বোতল সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া সাধারণ মানুষের জন্য হাইপারমার্কেট এবং সুপারমার্কেটে ৫০ লাখ বোতল জমজমের পানি সরবরাহ করা হবে। আগ্রহীরা সেখান থেকেও এই পবিত্র পানি সংগ্রহ করতে পারবেন।
হারামাইন পরিচালনা সূত্রে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে তারা ইতোমধ্যেই সব ধরনের সতর্কতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ২০১০ সাল থেকে প্রয়াত সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে হজযাত্রী এবং মক্কা-মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে আসা দর্শনার্থীদের জমজমের পানি বিতরণ করা হয়।
এদিকে মসজিদে হারামে আগতদের জমজমের চাহিদা মেটাতে বিশেষভাবে তৈরি পানির কন্টেইনারবাহিত বাহন উদ্বোধন করেছেন হারামাইন পরিচালনা পরিষদের প্রেসিডেন্ট শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস।
রোববার (২১ মার্চ) মসজিদে হারামে জমজম পানি বিতরণের জন্য প্রস্তুতকৃত বিশেষ বাহন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হারামাইন বিষয়ক পরিচালনা কমিটির সহকারী পরিচালক সাদ বিন মুহাম্মদ আল মুহাইমিদ উপস্থিত ছিলেন।
জমজম পানি বিতরণের বাহনগুলো মরিচা প্রতিরোধী স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি। ওই বাহনে থাকা দুই কন্টেইনারে ৮০ লিটার করে ঠাণ্ডা ও স্বাভাবিক পানি বহন করা যায়। কন্টেইনারগুলোকে অবিচ্ছিন্নভাবে জীবাণুমুক্ত রাখার প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। মসজিদে হারামের ভেতরে এবং বাইরের নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং প্রতিরোধমূলক সর্বোচ্চমানের সতর্কতা অবলম্বন করে এসব বাহনে করে পানি সরবরাহ করা হবে।