নামাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে মসজিদে হারাম
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে মক্কার মসজিদে হারাম। এখন থেকে আর ‘ইতামারনা’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে নামাজের অনুমতি নিতে হবে না। তবে জুমার নামাজ আর উমরার জন্য আগের নিয়ম বহাল থাকবে।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে নতুন নিয়মে নামাজের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা। সবার জন্য নামাজের অনুমতি থাকলেও আপাতত মাতাফে শুধুমাত্র উমরাকারীরা যাওয়ার অনুমতি পবেন। করোনা পরিস্থিতির পর কয়েক ধাপে উমরা চালু ও মসজিদে হারামের জামাতে অংশ অংশ নেওয়ার অনুমতি ছিলো। সর্বশেষ ১ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষকে উমরা ও মসজিদে হারামে ৬০ হাজার মানুষ নামাজ পড়ার সুযোগ পাচ্ছিলেন।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) মাগরিবের নামাজের পর মক্কায় বসবাসরত একাধিক বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা মহামারির প্রায় এগারো মাস পর মসজিদে হারামের বাইরের অংশে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মসজিদে হারামের জামাতে অংশ নেওয়ার অনুমতি ছিলো না। সাতমাস পর ইতামারনা অ্যাপসের মাধ্যমে নাম নিবন্ধন করে নামাজের অনুমিত নিতে হতো।
প্রায় এগারো মাস মসজিদে হারামে মুসল্লিদের আবেগী উপস্থিতি দেখা গেছে। ধীরে ধীরে মসজিদে হারাম ফিরছে আগের চেহারায়। নামাজের জন্য উন্মুক্ত করা হলেও সতর্ক হারামাইন কর্তৃপক্ষ। প্রতিবার নামাজের আগে ও পরে জীবাণুমুক্তকরণ কার্যক্রম চালানো হয়। আর উমরা পালনকারীদের জন্য এখনও ‘হাজারে আসওয়াদ’ বা পবিত্র কালো পাথর স্পর্শ কিংবা চুম্বনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কাবা শরীফের চারপাশে বসানো অস্থায়ী প্রাচীরের বাইরে থেকেই তাওয়াফ করতে হচ্ছে।
এ ছাড়া উমরা পালনকারীদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা চালু করা হয়েছে। কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে তাদের জন্য রাখা হয়েছে আইসোলেশন ব্যবস্থা। এসব সেবা নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আপাতত ৬ ধরনের রোগে আক্রান্তদের উমরা না করার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক. যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম, দুই. যারা গত ছয় মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তিন. যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, চার. যাদের হৃদরোগ রয়েছে, পাঁচ. যাদের হার্টের অবস্থা দুর্বল ও ছয়. যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, যারা মোটা বা লিভার ডিজিজ, ক্রেনিয়াল রোগে আক্রান্ত- তারা উমরা পালনে কিছু সময় নিতে পারেন। গর্ভবতী নারীদের উমরা ও জিয়ারতের জন্য কিছু দিন অপেক্ষা করা উচিত।