আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে কাবার গিলাফ তৈরির নির্দেশ

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাবার গিলাফ তৈরির কাজে ব্যস্ত শ্রমিক, ছবি: সংগৃহীত

কাবার গিলাফ তৈরির কাজে ব্যস্ত শ্রমিক, ছবি: সংগৃহীত

হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আস সুদাইস পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফ ও মসজিদে হারামের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের মেশিনারিজ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।

নতুন নির্দেশনায় তিনি বলেন, মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববীর নির্মিত ও নির্মাণাধীন যত স্থাপনা আছে, তা আরও আকর্ষণীয় করতে আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের মেশিনারিজ ব্যবহার করা দরকার।

বিজ্ঞাপন

সেই সঙ্গে এই দুই মসজিদে ব্যবহৃত জিনিসগুলো দেশের ভেতর ও বাইরের জাদুঘরে প্রদর্শন করা যেতে পারে। এতে দর্শনার্থীদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মতামত দিয়েছেন তিনি।

ড. সুদাইসি আরও বলেন, এমন পদক্ষেপের ফলে হারামাইন শরিফাইনের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের সুনাম-সুখ্যাতি বাড়বে। এই কাজগুলো অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে পারলে দুই মসজিদে তাদের একনিষ্ঠ কাজগুলো লোকদের সামনে স্পষ্ট হবে। কাবার গিলাফ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বাদশাহ আবদুল আজিজ কমপ্লেক্স ইতোমধ্যে তাদের প্রস্তুত সামগ্রীর মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে।

বিজ্ঞাপন

গিলাফের কাপড় কাটা, সেলাই করার মেশিন, এসবই অত্যাধুনিক করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছর ৯ জিলহজ পবিত্র হজের দিন কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়।

কাবা শরিফে চড়ানো এবছরের নতুন গিলাফে ৬৭০ কেজি খাঁটি রেশম, ১২০ কেজি খাঁটি স্বর্ণ এবং ১০০ কেজি রূপার সুতা ব্যবহার করা হয়েছে।

স্বর্ণের সুতা দিয়ে গিলাফের বিভিন্ন অংশে ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে কোরআনের আয়াত লেখা হয়েছে।

গিলাফে ব্যবহৃত খাঁটি রেশম আনা হয়েছে ইতালি থেকে। আর স্বর্ণ আনা হয়েছে জার্মানি থেকে। অনুমান করা হচ্ছে, কাবার নতুন গিলাফের কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ২২ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল খরচ হয়েছে।

দুই শতাধিক শ্রমিক সারাবছর কাবার গিলাফ তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকেন। গিলাফটি খুব টেকসই ও মানসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়। যেন রোদ-বৃষ্টিতে গিলাফের রঙ এবং গিলাফ নষ্ট না হয়।