জুলাইয়ে করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাবে জাপান
করোনা ভাইরাসআগামী জুলাইয়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করবে জাপান।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সোমবার (১১ মে) জাতীয় সংসদের বাজেট কমিটির বৈঠকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশটির সংক্রামক রোগ সংক্রান্ত জাতীয় ইনস্টিটিউটসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে।
সংসদে বাজেট কমিটির বৈঠকে শিনজো আবে বলেন, আমি আশা করি খুব শিগগিরই টিকা কর্মসূচি চালু হতে পারে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত মাস থেকে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার মধ্যে রয়েছে জাপান।
সংসদে জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার এ মাসের শেষ নাগাদ কোভিড-১৯-এর চিকিৎসার জন্য অ্যান্টি ফ্লু ড্রাগ অ্যাভিগানকে অনুমোদন দিতে যাচ্ছে।
মার্চ মাসের শুরুর দিকে জাপানের ফুজিফিল্ম হোল্ডিংস উৎপাদিত ওষুধ অ্যাভিগানকে করোনার চিকিৎসায় কার্যকর বলে মত দেয় চীনের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ডেভলপমেন্ট।
চীনের প্রশংসা করার দিনেই ওষুধ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি ১৫ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।
গত সপ্তাহে শিনজো আবে সরকার আরও একটি অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির-এরও অনুমোদন দেয়। রেমডেসিভির মূলত ইবোলার সম্ভাব্য চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। সরকারের অনুমোদনের পর ওষুধটি জাপানে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় অনুমোদনপ্রাপ্ত একমাত্র ওষুধে পরিণত হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি গিলিয়াড সায়েন্সেসের জাপানি ইউনিট রেমডেসিভিরের অনুমোদনের আবেদন করার মাত্র তিনদিনের মাথায় ওষুধটি জাপান সরকারের অনুমোদন পায়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারও করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির জরুরিভাবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
জাপানে ইতোমধ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ১৫,৭৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ৬৪৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে।