রোজি হিউজেস চিকিৎসা পেশায় সবে মাত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। মাত্র এক বছরের মাথায় মহামারি করোনাভাইরাসের সঙ্গে তাকে যুদ্ধে নামতে হয়। নিজ চোখে অসংখ্য রোগীর মৃত্যু দেখেছেন। তাদের জন্য কেঁদেছেন। কাজের ফাঁকে সহকর্মীদের সঙ্গেও হেসেছেন। তিনি জানতেন এই পথ সহজ নয়। তবে এই সময় থেমে থাকার নয়।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করার জন্য যিনি দিন রাত খেটেছেন তাদের কাতারে যে নিজের নামটি লিখতে হবে সেটি হয়তো জানা ছিল না তার। সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা জানান ব্রিটিশ পত্রিকা দ্যা গার্ডিয়ানকে। তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা বার্তা২৪.কমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
আমি একজন জুনিয়র ডাক্তার। গত কয়েক সপ্তাহে আমি দেখেছি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছেন। আমার বয়স ২৫। আমি একটি মেট্রোপলিটন হাসপাতালে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে এনএইচএসে কাজ করছি। যখন আমি এবং আমার সহকর্মীরা ছয় বছর আগে মেডিকেলে আবেদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখন আমরা জানতাম যে আমরা একটি চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হচ্ছি। আমরা জানতাম এটি একটি সহজ যাত্রা হবে না। আমি কিংবা আমাদের কেউ কল্পনাও করতে পারিনি আমরা আমাদের ক্যারিয়ারের এক বছরে মধ্যে এমন মহামারির সম্মুখীন হবো।
আমি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ভর্তি থাকা রোগীদের যত্ন নিয়েছি এবং কথা বলার সময় তাদের যখন খুব শ্বাসকষ্ট হতো তখন আমি তাদের হাত ধরেছি। রোগীকে ভ্যান্টিলেটর সুবিধা দেওয়ার জন্য লড়াই করেছি। আমার শিফট শেষ হওয়ার পরেও আমি তাদের সাথে ছিলাম। শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার আগে পর্যন্ত আমি ছিলাম সেখানে। আর ভাবতাম কিছু মাস আগে হলেও একটা সুযোগ থাকত। তাদের পরিবারকে আমি কল করে জানিয়েছি, তাদের প্রিয় মানুষটি আর বাঁচবেন না।
আমি তখন অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে ও ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে তাদের বলি যে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের ঝুঁকির কারণে তারা রোগীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। একসময় ফোনে থাকাকালীন সময়ে আমি চোখের পানি আটকে রাখতে ব্যর্থ হয়েছি এবং আশা করতাম আমার ভারাক্রান্ত কণ্ঠ যেন তারা না শোনে।
গত সপ্তাহের রোববার সন্ধ্যায় আমি ক্লান্ত অনুভব করতে শুরু করলাম এবং খেয়াল করেছি যে আমি স্বাদ এবং গন্ধের সংবেদন হারিয়ে ফেলেছি। এটি কোভিড ১৯ এর নতুন একটি লক্ষণ যা করোনার উপসর্গ।
সোমবার সকালে, আমার পেশাগত স্বাস্থ্য বিভাগে পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান করার পর আমি ফোনে একজন নার্সের সাথে যোগাযোগ করি, যিনি আমাকে কাজে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যেহেতু আমার কাশি বা জ্বর হয়নি সে জন্য সে কিট সংগ্রহ করতে পারবেন না পরীক্ষার জন্য। তার আমাকে দেওয়া উত্তরটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিকনির্দেশনার সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। আমি দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেলাম।
আমি বুঝতে পারছিলাম যে, এখানে থাকার কারণে আশপাশের মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছি। তাৎক্ষনিক হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।
হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার আগে আমার করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি যেটা আমার ঊর্ধ্বতন অনুমোদন দেয়। করোনাভাইরাসের বর্তমান পরীক্ষার ধরন হচ্ছে গলা থেকে লালা সংগ্রহ করা। তবে এই পদ্ধতিতে যিনি এটি সংগ্রহ করেন সে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন।
আমার ওয়ার্ডের নার্সদের সাহায্যের জন্য বলতে পারলাম না। কারণ আমি জানতাম আমার এখানে চোখের সুরক্ষার জন্য দেওয়া গ্লাসটির সংকট রয়েছে। তাই আমি নিজেই সেই লালা সংগ্রহ করলাম এবং পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠালাম।
আমি পরেরদিন ফোন পেলাম। জানতে পারলাম ফলাফল পজিটিভ এসেছে। এর অর্থ আমাকে সাত দিনের জন্য সঙ্গরোধে থাকতে হবে এবং আমার রুমের দুইজন যারা জুনিয়র চিকিৎসকও রয়েছেন, তাদেরকে মোট ১৪ দিন সঙ্গরোধে থাকতে হবে।
আমার বহু রোগীর মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসের জন্য। এটি একটি কঠিন পরীক্ষা। নিরাপদ পিপিইর অভাবে এটিকে অনিবার্য বলে মনে হয়েছিল। তবে আমি স্বস্তি পেয়েছিলাম যে অপেক্ষাটি শেষ হয়েছে এবং এটি শেষ পর্যন্ত আঘাত করেছে।
আমি ভাগ্যবান। আমার লক্ষণগুলো হালকা এবং আমি কেবল আশা করতে পারি যে এটি সেভাবেই যেন থাকে। কিন্তু যখন আমি বসে ভাবি তখন আমার খুব ভয় হয় এবং অপরাধবোধ হতে থাকে।
আমি শ্বাসকষ্টে থাকা রোগীদের অবস্থা আমার মাথায় রিপ্লে করি এবং তাদের পরিবারের সাথে আমার টেলিফোনের কথোপকথনগুলো স্মরণ করতে থাকি। আমি অবাক হয়ে ভাবি, ইশ! আমি যদি আরও যত্নশীল থাকতাম বা আমার হাতগুলো আরও একবার ধুয়ে ফেলতাম বা আমার গ্লাভস দিয়ে আমার মুখটি স্পর্শ না করতাম তবে সম্ভবত আমি সেই মৃত্যুগুলো কিছুটা হলেও আটকাতে পারতাম। আমার অপরাধবোধ কাজ করে, আমার কারণে রুমমেটরা তাদের কাজে যেতে পারছেন না। আমার খারাপ লাগছে, আমার সহকর্মীর কথা চিন্তা করে। আমার শিফটগুলোতে তাদের বাড়তি কাজ করতে হচ্ছে সেই সঙ্গে ভাইরাসের মধ্যে দীর্ঘ সময় থাকতে হচ্ছে।
নার্সের কথা না শুনে হাসপাতাল থেকে চলে আসার কারণে আমার সম্ভাব্য পরিণতি নিয়েও আমি চিন্তিত। যখন নার্স আমাকে কাজে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং পরীক্ষা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল (জ্বর ও কাশি না থাকার কারণে)। আমি নিয়ম ভঙ্গ করেছি এবং আমার পদের সুযোগ নিয়েছি। কিন্তু আমি আশা করি এটা তারা বিবেচনায় নিবেন না। কারণ, আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল এবং হাসপাতালের রোগী ও আমার সহকর্মীদের সংক্রমিত হওয়া থেকে বাঁচাতে পেরেছি। নার্সের কথা মতো কাজ চালিয়ে গেলে বিপদ হতে পারতো।
সমস্ত ভয় এবং উদ্বেগের বাইরে, আমি আমার বন্ধুবান্ধব এবং আমার পরিবারকে অনেক মিস করি। তারা আমাকে প্রতিদিন খোঁজ খবর নেয় এবং জিজ্ঞাসা করে যে আমি কী করছি।
বেশিরভাগ সময় আমি কেবল হাসপাতালে থাকতে চেয়েছিলাম কারণ এটাই পরিবারকে ভুলে থাকার সহজ উপায় ছিল। ফলাফল, আমার সহকর্মীরা আমার পরিবারে পরিণত হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, অ্যাডমিন স্টাফ, কুলি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ সবাই। তারা সাহসী ও তারা মেধাবী এবং তারা আমাকে একই রকম হতে অনুপ্রাণিত করে। ভয়, ক্লান্তি, অনিশ্চয়তা, একাকীত্ব এবং অশ্রু সব ভুলে আমরা এখনও কোনও না কোনোভাবে প্রতিদিন হাসি। আমরা মূলত আমাদের চোখ দিয়ে হাসি। এই মহামারি আমাদের এমনভাবে এক করেছে যা আমি বর্ণনা করে বোঝাতে পারব না।
আমরা গর্বের সঙ্গে যেখানে কাজ করি যাকে আমরা এনএইচএস বলি সেটা সম্পর্কে উপযুক্ত বর্ণনা করা কঠিন। অনেকেই আমাদের ধন্যবাদ জানায়, অনেকেই আমাদের 'হিরো' ডাকে। দয়া করে জেনে রাখুন যে এটাই আমাদের কাছে অনেক সম্মানের।
আগামীকাল, আমার সঙ্গরোধের সময়কাল শেষ হবে। আমি স্বস্তি পেয়েছি এই জন্য যে আমি এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হয়েছি এবং দুর্ভাগ্যবানদের জন্য আবারো লড়াই চালিয়ে যেতে পারব।
ভারতের তামিলনাড়ুর ত্রিউভাল্লুর জেলায় একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের অন্তত ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিদিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে চেন্নাইয়ের কাছে কাভারাইপেট্টাইতে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী ট্রেনের সাথে দ্রুতগতির একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের (যাত্রীবাহী ট্রেনের) মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের অন্তত ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশে পড়ে যায়। এছাড়া ট্রেনের পার্সেলের বগিতে আগুন ধরে।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জন আহত হয়েছে। আহত যাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি জানিয়েছে, কাভারাইপেট্টাই স্টেশনে প্রবেশ করার সময় যাত্রীবাহী ট্রেনটি একটি ভারী ধাক্কা খেয়েছিল। ট্রেনটি সিগন্যাল অনুযায়ী প্রধান লাইনে যাওয়ার পরিবর্তে লুপ লাইনে প্রবেশ করে এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়।
ভারতীয় রেলওয়ের নির্বাহী পরিচালক (তথ্য ও প্রচার) দিলীপ কুমার বলেছেন, 'আমরা যাত্রীবাহী ১২৫৭৮ বাগমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনার তথ্য পেয়েছি। এরপরই উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি থেকে ৯৫ শতাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো মৃত্যু বা গুরুতর জখমের খবর আসেনি।'
তিনি বলেন, ট্রেনের ক্রু ও গার্ডরা নিরাপদে আছেন। আমরা ট্রেনের অবশিষ্ট যাত্রীদের তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছি।
দেশটির রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নয়াদিল্লির থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলেছেন এবং বাকি যাত্রীদের তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
ভারতের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন নোয়েল টাটা। তিনি প্রয়াত শিল্পপতি রতন টাটার সৎভাই।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মুম্বাইয়ে এক বোর্ড মিটিংয়ে নোয়েলকে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নোয়েল টাটা স্টিল ও ঘড়ি কোম্পানি টাইটানের ভাইস চেয়ারম্যান। তার মায়ের নাম সিমোনে টাটা, ফরাসি বংশোদ্ভূত সুইস এই নারী রতন টাটার সৎ মা। সিমোনে টাটা ট্রেন্ট, ভোল্টাস, টাটা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন ও টাটা ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, ২০০০-এর দশকের প্রথমদিকে টাটা গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর থেকে নোয়েল ব্যবসায়িক গোষ্ঠীটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শুক্রবার স্যার রতন টাটা ট্রাস্ট ও দোরাবজি টাটা ট্রাস্টের বৈঠকের পর নোয়েলকে টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে ১৪টি ট্রাস্টের সবগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করে টাটা ট্রাস্ট। টাটা সন্সের ৫০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা প্রধানত দু’টি প্রধান ট্রাস্টের অধীনে আছে। এর একটি স্যার দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট ও অপরটি স্যার রতন টাটা ট্রাস্ট। বর্তমানে টাটা ট্রাস্টের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন ভেনু শ্রীনিবাসন, বিজয় সিং এবং মেহলি মিস্ত্রি।
৬৭ বছরের নোয়েল দোরাবজি টাটা ট্রাস্টের একাদশতম চেয়ারম্যান এবং রতন টাটা ট্রাস্টের ষষ্ঠ চেয়ারম্যান। দেড়শ বছরের বেশি পুরনো সংস্থায় ট্রাস্টের প্রধানের নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রতন টাটার ছোট ভাই জিমি টাটা তাদের পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি দক্ষিণ মুম্বাইয়ের কোলাবা এলাকায় দুই বেডরুমের একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন আর সাধারণ জীবনযাপন করেন।
রতন টাটা বুধবার মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি ১৯৩৭ সালে একটি পার্সি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ১০ বছর বয়সে তার বাবা নাভাল টাটা ও মা সুনি টাটার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তারপর থেকে দাদির তত্ত্বাবধানে বেড়ে ওঠেন তিনি।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের দুকি এলাকায় একটি কয়লা খনিতে সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৭ জন। নিহতরা সবাই খনি শ্রমিক।
এখনো এ হামলার দায় কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডন'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, শুক্রবার বেলুচিস্তানের দুকি এলাকায় একটি ছোট বেসরকারি কয়লা খনিতে সশস্ত্র লোকদের হামলায় কমপক্ষে ২০ জন খনি শ্রমিক নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দুকি স্টেশন হাউজ অফিসার (এসএইচও) হুমায়ুন খান বলেন, “একদল সশস্ত্র লোক ভোররাতে দুকি এলাকায় জুনায়েদ কয়লা কোম্পানির খনিতে ভারী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা মাইন লক্ষ্য করে রকেট ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
দুকির ডাক্তার জোহর খান শাদিজাই বলেছেন, "আমরা জেলা হাসপাতালে এ পর্যন্ত ২০টি মৃতদেহ এবং ছয়জনকে আহত পেয়েছি।"
দুকি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল্লাহ নাসির বলেছেন, দুর্বৃত্তরা হামলায় "হ্যান্ড গ্রেনেড, রকেট লঞ্চার এবং অন্যান্য আধুনিক অস্ত্র" ব্যবহার করেছে। তারা ১০টি কয়লা ইঞ্জিন ও যন্ত্রপাতিতেও আগুন দিয়েছে।
দুকির জেলা প্রশাসক (ডিসি) কলিমুল্লাহ কাকার এবং সহকারী কমিশনার (এসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া এফসি কমান্ড্যান্ট এবং দুকি পুলিশ সুপারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে লাশ উদ্ধারে যৌথ অভিযান চালানো হয়।
এর আগেও এই অঞ্চলে আগস্টে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। তখন ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলো জাপানি সংস্থা নিহন হিদানকিও। হিবাকুশা নামে পরিচিত এই সংগঠনটি হিরোশিমা এবং নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়াদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জাপানি সংস্থা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়) নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।
এক বিবৃতিতে নোবেল কমিটি জানায়, "হিরোশিমা এবং নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা থেকে বেঁচে যাওয়াদের প্রতিনিধিত্বকারী জাপানের একটি মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকিও। সংগঠনটি হিবাকুশা নামেও পরিচিত। পৃথিবীতে আর কখনো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয় এবং পরমাণবিক অস্ত্রবিরোধী বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে সংগঠনটিকে এই পুরস্কার দেওয়া হলো।"
- সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং
- রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
- পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ২ বিজ্ঞানী
- চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন
পুরস্কার ঘোষণার সব তথ্য নোবেলপ্রাইজ নামের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি দেখা যাবে। এ বছরের নোবেল পুরস্কারের সমস্ত ঘোষণা nobelprize.org ও নোবেল পুরস্কার কমিটির ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট এই বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬ জন প্রার্থীর নাম নিবন্ধন করে, যার মধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি এবং ৮৯টি সংস্থা ছিল।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং।
প্রথা অনুযায়ী অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার হিসেবে ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
সোমবার যৌথভাবে দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকানকে চিকিৎসাশাস্ত্র বা ওষুধশাস্ত্রে ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জন জে. হপফিল্ড ও জিওফ্রে ই. হিন্টনকে যৌথভাবে ২০২৪ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
এর আগে গত বুধবার (৯ অক্টোবর) রসায়নে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন। তারা হলে- যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ডেভিড বেকার ও জন এম. জাম্পার এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিক ডেমিস হাসাবিস।