উহানে ১১ সপ্তাহের লকডাউন শেষে বের হচ্ছেন মানুষ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হয়। শহরটিতে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েকমাস পর বুধবার (৪ এপ্রিল) উহান থেকে লকডাউন তুলে নিয়েছে চীন সরকার।

২৩ জানুয়ারি পর এই প্রথম যাদের স্মার্টফোন হেলথ অ্যাপে সবুজ কোড আছে, তারা এখন বের হতে পারবেন। এমনকি চীনের অন্য প্রদেশেও ভ্রমণ করতে পারবেন। রেল, সড়ক পরিবহন পুনরায় চালু করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসের পরিসংখ্যান দেওয়া শুরুর পর এই প্রথম মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) গোটা চীনে কোনো মৃত্যুর খবর না আসায় এ সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার।

উহানে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ, মহাব্যস্ত নগরীর বেশিরভাগ ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়। প্রায় ১১ মিলিয়ন নাগরিককে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চীনে সংক্রমণের হার একবারে কমে গেছে এবং এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

এর আগে গত মাসে উহানে প্রথম, কোন একটি সপ্তাহে করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। এরপরেই শপিং মল, নিজেদের আবাসিক এলাকায় দুই ঘণ্টার জন্য ঘোরার সুযোগ পায় উহানবাসী।

বুধবার থেকে স্মার্টফোন অ্যাপসের কিউআর কোড ব্যবহার করে উহানবাসী গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারবেন। এই কোড প্রত্যেকের জন্য আলাদা এবং তাদের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সেখানে দেওয়া আছে।
কর্তৃপক্ষ মানুষকে আবার চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনের কাজে যেতে বলা হয়েছে। বৈশ্বিক ও জাতীয় সরবরাহ ঠিক রাখতে অন্য শিল্প কারখানাগুলোও পুনরায় চালু করা হচ্ছে।

এছাড়া সীমিত আকারে ফ্লাইট চালু হবে, বুধবার উহান থেকে ২০০ ফ্লাইটে ১০ হাজার যাত্রী চীনের বিভিন্ন স্থানে যাবেন।

চীনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ১০০ টি দ্রুত গতির ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে। কিছু গণপরিবহনও চলাচল শুরু করেছে। তবে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর চীনের মূল ভূখণ্ডে ৩ হাজার ৩০০ এর বেশি মানুষ মারা গেছেন। এরমধ্যে বেশিরভাগই রাজধানী উহানসহ হুবেই প্রদেশের। এছাড়া প্রায় ৮২ হাজার কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত সোমবার ৩২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, যা ৩৯ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। আক্রান্তদের মধ্যে ৭৭ হাজার ২৯৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। করোনা মোকাবিলায় চীন সফল বলেও মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি