২.২ ট্রিলিয়ন ডলারের বিলে ট্রাম্পের সই

  করোনা ভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিলে সই করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ছবি: সংগৃহীত

বিলে সই করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ছবি: সংগৃহীত

মহামারি নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব রোধে ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে দুই দিন আগে মার্কিন সিনেটে (উচ্চকক্ষে) পাস হওয়া ২.২ ট্রিলিয়নের বিলে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ মার্চ) হোয়াইট হাউসে এই বিলে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প।

এর আগে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি পরিষদে বিলটির প্রস্তাবনা পাস করা হয়। আর ট্রাম্পের বিলে সইয়ের পর এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনে পরিণত হল।

বিজ্ঞাপন

সামরিক খাত ব্যতীত মার্কিন ইতিহাসের এটি সবচেয়ে বড় বাজেট।

হোয়াইট হাউসে বিলটি সাক্ষরের সময় কোনো ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তবে ট্রাম্প মতপার্থক্য ভুলে দুই দলকে একত্রিত হয়ে বিলটি সমর্থন করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

সইয়ের পর ট্রাম্প বিলটিকে পূর্বের কোনো ত্রাণ বিলের চেয়ে দ্বিগুণ বড় বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের লোকদের যত্ন নিচ্ছি। এটি আমাদের দেশের পরিবার, শ্রমিক এবং ব্যবসায়ের জন্য জরুরিভাবে ত্রাণ সরবরাহ করবে।

বিলটির ফলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত জীবন ও ব্যবসায়ীদের সরাসরি অর্থ প্রদান করা হবে। যেসব মার্কিনী শ্রমিক প্রতি বছর ৭৫ হাজার ডলার করে ইনকাম কর‍ত তাদেরকে ১ হাজার ২০০ ডলার করে দেওয়া হবে। বিবাহিত দম্পতি যাদের প্রতি বছর আয় ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার তাদেরকে ২ হাজার ৪০০ ডলার করে দেওয়া হবে। আর শিশুবাবদ ৫০০ ডলার দেওয়া হবে।

বিলের আওতায়, বড় ব্যবসায়ী ও সরকারগুলোকে ৫১০ বিলিয়ন, ছোট ব্যবসায়ীদের ৩৭৭ বিলিয়ন ডলারের লোন, মার্কিনীদের সরাসরিভাবে ২৯০ বিলিয়ন, ব্যবসায়ী কর বাবদ ২৮০ বিলিয়ন, বেকারত্ব ঘুচাতে ২৬০ বিলিয়ন, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবার জন্য ১৮০ বিলিয়ন, স্টেট ও স্থানীয় সরকারকে ১৫০ বিলিয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় ৭২ বিলিয়ন, সামাজিক সুরক্ষা ও খাদ্যের জন্য ৪৫ বিলিয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ফেডারেল সরকারকে ৪৫ বিলিয়ন, শিক্ষা ক্ষেত্রে ৩২ বিলিয়ন, ব্যক্তিগত করের জন্য ১৯ বিলিয়ন ও অন্যান্য খাতে ২৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা করা হবে।

বর্তমানে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের দিক দিয়ে সবার ওপরে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্ত শনাক্ত করা গেছে ১ লাখ ১ হাজার ৮৫৪ জন। আর মারা গেছে ১ হাজার ৫৮৯ জন। সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৪৭১ জন।