ইতালির মতো বিপর্যস্ত হতে পারে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা

  করোনা ভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ছবি: সংগৃহীত

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবার (এনএইচএস) অবস্থা ইতালির মত বিপর্যস্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

কোভিড-১৯ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর সংখ্যা ইতালিতেই। ইউরোপের দেশটিতে মারা গেছে ৫ হাজারেরও বেশি। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ২৩৩ এ দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার আবারও ভাইরাস বিস্তার বন্ধে বরিস দেশটির জনগণদের বাড়িতে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। যা ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

সংবাদ মাধ্যমগুলো বরিসের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, মৃত্যুর সংখ্যা আমাদের কম। কিন্তু তা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে মৃত্যুর দিক দিয়ে ইতালিকে পেছনে ফেলতে আমাদের শুধুমাত্র দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগবে।

তিনি আরও বলেন, করোনার বিস্তার কমাতে আমরা যদি একসঙ্গে কাজ না করি তাহলে সরকারের প্রচেষ্টা কোনো কাজে আসবে না। আর এরকমটা হলে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এনএইচএস ইতালির স্বাস্থ্যসেবার মত ভেঙ্গে পড়বে।

গত সপ্তাহেও বরিস ভাইরাস সম্পর্কে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সতর্কতা দেখিয়েছেন। ওই সময় ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বরিস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাব ও রেস্তোরাঁগুলোকে বন্ধ করতে বলেন। এছাড়া জনসমাগম পরিহার করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

চলতি সপ্তাহের শনিবার এনএইচএস যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন। যেখানে পরবর্তী সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালগুলোকে ভেন্টিলেটর, অতিরিক্ত বেড ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত সরঞ্জাম দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগটি রাজি হয়।

যুক্তরাজ্যের প্রায় ১৫ লাখ লোককে অতিরিক্ত ঝুঁকিতে রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে এনএইচএস। তাদের নিজস্ব সুরক্ষার জন্য তাদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তবে ইতালীয় অভিজ্ঞতা থেকে বরিস সতর্ক করেছেন, সেরা হাসপাতালগুলো থেকেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এক নোটে বরিস জানান, ইতালির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুব ভালো ছিল। তবে বর্তমানে তাদের নার্স ও চিকিৎসকরা পুরোদমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভাইরাসটি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হিসেবে আমি বলতে পারি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করা।