করোনা মোকাবিলায় মালয়েশিয়ায় সেনা মোতায়েন

  করোনা ভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়ালালামপুরের রাস্তায় টহল দিচ্ছেন সেনা সদস্যরা

কুয়ালালামপুরের রাস্তায় টহল দিচ্ছেন সেনা সদস্যরা

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মালয়েশিয়ায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার থেকে আগামী দুই সপ্তাহ দেশটিতে সেনা মোতায়েন থাকবে।

একটি ইসলামিক মাহফিল থেকে মালয়েশিয়ায় ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেখানে ইতোমধ্যে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে, ভাইরাসটিতে সংক্রামিত হয়েছে এক হাজার ১৮৩ জন।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মালয়েশিয়া।
এ অঞ্চলের দেশগুলোতে ৩,২০০ জনের বেশি নাগরিক করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছে। মালয়েশিয়ার পর সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনে।

নাগরিকরা করোনাভাইরাস নিয়ে জারি হওয়া বিধিনিষেধ অমান্য করায় সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া সরকার।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব এক ব্রিফিংয়ে বলেন, পুলিশ জানিয়েছে ৯০ শতাংশ লোক বিধিনিষেধ মান্য করে চলেছে, তবে ১০ শতাংশ অমান্যকারী খুব কম নয়।

তিনি বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে রাস্তায় টহল দেবে। নগর ও গ্রামীণ অঞ্চলে টহল দেওয়া, হাসপাতালের সুরক্ষা বজায় রাখা ও জনসমাগমের স্থান তদারকি করবে তারা।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের নিকটবর্তী একটি মসজিদে আয়োজিত চার দিনব্যাপী এক ইসলামি সমাবেশ থেকে দেশটির অনেক নাগরিকের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। দেশটিতে সংক্রামিত মোট রোগীর ৬০ শতাংশ সেই সমাবেশ থেকে আক্রান্ত হয়েছেন।

ধর্মীয় ওই সমাবেশে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছেন। আয়োজকদের একজন এক বিবৃতিতে জানান, সমাবেশে অংশ নেওয়া ১৪,৫০০ জনের মধ্যে এখনও ৪,০০০ জনকে শনাক্ত করা যায়নি।

অনুষ্ঠানের আয়োজক দলের নেতা আবদুল্লাহ চেওং বলেন, সমাবেশে কয়েক হাজার অংশগ্রহণকারীকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি এমন খবর শোনার পর অনেকেই নিজেদের নাম রেকর্ড করতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও হাসপাতালে যোগাযোগ করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষকে মহামারি মোকাবিলায় সহায়তা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি এবং পূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।

আবদুল্লাহ চেওং আরও বলেন, ওই জনসমাবেশে বিদেশি ও ২০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ মোট ১২,৫০০ জন লোক উপস্থিত ছিলেন। সরকার সংখ্যাটিকে বাড়িয়ে ১৬,০০০ বলছে।