বিদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্ত আসছে চীনে

  করোনা ভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: রয়টার্স

ছবি: রয়টার্স

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসটি (কোভিড-১৯) পাওয়া যায় চীনের উহান প্রদেশে। ভাইরাসটি প্রাদুর্ভাব রোধে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে এই দেশটি। পরপর দুইদিন চীনের মূল ভূখণ্ডে কোনো ব্যক্তি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু বিদেশ থেকে আগত লোকদের দ্বারা নতুন করে ভাইরাসটি আবার চীনে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চীনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২০ মার্চ) পর্যন্ত দেশটিতে বিদেশ থেকে আসা ২২৮ জন লোকের মাঝে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। আর এতে চীনের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ভাইরাসটি সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষকরা।

বিজ্ঞাপন

একদিকে চীন তাদের আক্রান্তের সংখ্যা অকল্পনীয় হারে কমাচ্ছে অন্যদিকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে চীনের নাগরিক যারা ওই অঞ্চলে অবস্থান করছে তারা ফিরে আসতে শুরু করেছে। আর এতে চীনে দ্বিতীয়বারের মত ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।

শুক্রবার বেইজিংয়ে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের কর্মকর্তা ওয়াং বিন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, চীনে আমদানিকৃত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। যার ফলে আমাদের নজরদারি ও সতর্কতা আরও বাড়াতে হবে।

ওয়াং বিন আরও জানান, বৃহস্পতিবার চীনের মূল ভূখণ্ডে বিদেশ থেকে আগত ৩৯ জন করোনা আক্রান্তকে শনাক্ত করা গেছে। আর শনাক্ত সবাই দেশটির বাইরে থেকে এসেছে। এর মধ্যে ১৪ জনকে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডং, ৮ জনকে সাংহাইয়ে ও ৬ জনকে বেইজিং থেকে শনাক্ত করা হয়।

কোথা থেকে এইসব লোক আক্রান্ত হয়েছে সে সম্পর্কে কমিশন থেকে কিছুই জানানো হয়নি। তবে প্রাদেশিক সরকার থেকে জানানো হয়, চীনে আসা কিছু যাত্রী ব্রিটেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলো।

এ বিষয়ে বেইজিংয়ের এক বাসিন্দা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে জানান, বিদেশ থেকে যারা ফিরে আসছেন তাদের সম্পর্কে সবাই খুব সচেতন রয়েছেন। আমাদের অবশ্যই সরকারকে হতাশ করা উচিত নয়। আমদের নজরদারি কমানো উচিত হবে না।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বিনা অনুমতিতে ও পরীক্ষা না করে ভ্রমণকারীদের প্রবেশ করানোয় গানসুর পাঁচ সরকারি কর্মকর্তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিদেশ থেকে সংক্রামিত আগতদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় ও মহামারি নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য শুক্রবার চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি ভিডিও কনফারেন্স করেছেন।