কাতারে প্রবাসী শ্রমবাজারে করোনার হানা

  করোনা ভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বিবিসি

ছবি: বিবিসি

মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষুদ্র দেশ কাতার। নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) থাবা দেশটিতেও পড়েছে। দেশটির সবচেয়ে পুরাতন শিল্প অঞ্চলটি উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর হটস্পট হিসেবে খ্যাত। আর করোনার ফলে শিল্পাঞ্চলগুলোতে কাজ করা প্রবাসী শ্রমিকরা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

পুরাতন শিল্প অঞ্চলটিতে গাড়ি সার্ভিসিং ও অনেকগুলো ছোট ছোট দোকান রয়েছে। এছাড়া অঞ্চলটিতে প্রচুর প্রবাসী শ্রমিক বাস করে। যার প্রেক্ষিতে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে প্রবাসীরা।

বিজ্ঞাপন

প্রবাসী সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্ষুদ্র দেশটিতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত ৪৫২ জনকে শনাক্ত করা গেছে। যা ছয়টি উপসাগরীয় আরব দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। ছয়টি দেশে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ১ হাজার ২০০ জন করোনা আক্রান্তকে শনাক্ত করা গেছে।

এদিকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিস্তার রোধে কাতার সরকার দেশটির রাজধানী দোহার কয়েক বর্গকিলোমিটারের শিল্পাঞ্চল বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। আর ওই স্থানে শ্রম শিবির ও শ্রমিকদের আবাসন ইউনিট রয়েছে।

তেল উৎপাদনকারী দেশটিতে প্রায় ২০ লাখ প্রবাসী শ্রমিক কাজ করে। যার বেশিরভাগই এশিয়ার নেপাল, বাংলাদেশ ,ভারত ও ফিলিপাইনের।

প্রবাসী শ্রমিক নিয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এমন এক প্রশ্নের জবাবে দেশটির সরকারি যোগাযোগ অফিস (জিসিও) থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, কাতারে এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে এবং জনসংখ্যার প্রতিটি সদস্যকে রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যার জন্য ভাইরাস সংক্রমণ কমাতে কয়েকটি অঞ্চল লকডাউন করা হয়েছে।

তবে লকডাউন শিল্পাঞ্চলে কত মানুষ রয়েছে ও কতজন প্রবাসী শ্রমিক সঙ্গরোধে রয়েছে তা জানায়নি জিসিও।

চলতি মাসের ১১ মার্চ কাতার কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা সর্বমোট ২৩৮ জনকে সঙ্গরোধে রেখেছে। তবে প্রবাসী কত শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছে ও তারা কোন দেশের নাগরিক তা প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

জিসিও বলছে, কর্তৃপক্ষ লকডাউন সাইটগুলোতে খাদ্য, পানি, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করছে। আর চিকিৎসকরা সঙ্গরোধে থাকা আক্রান্তদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।

উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের মতো কাতারও কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভাইরাসের বিস্তার রোধে তারা বিদেশিদের কাতারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ কাতারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। লটারিতে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কাতার বহু প্রবাসীকে নিজেদের দেশে নেয়। কিন্তু প্রবাসী শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ও কাজের সুরক্ষা নিয়ে বিভিন্ন সময় দেশটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।