অদম্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী /ছবি: সংগৃহীত

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী /ছবি: সংগৃহীত

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গাড়িবহর নিয়ে উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে এস আর দারাপুরি নামে সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। সম্প্রতি ভারতে শুরু হওয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করায় গ্রেফতার হন সাবেক ওই পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু প্রিয়াঙ্কাকে দারাপুরির বাড়ি যাওয়ার পথে বাধা দেয় উত্তর প্রদেশের পুলিশ।

প্রথমে বাধা দেয়ায় গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য হন প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ করে বলেন, গাড়ি থেকে নেমে তিনি হাঁটা শুরু করলে এক পুলিশ কর্মকর্তা তার গলা টিপে ধরেন। তার সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু থেমে থাকার পাত্রী নন প্রিয়াঙ্কা। তিনি দলের এক কর্মীর স্কুটারে উঠে এগিয়ে যেতে থাকেন। মাঝপথে আবারও পুলিশ তাকে বাধা দেয়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে এরপর পায়ে হেঁটে চলে যান দারাপুরির বাড়িতে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ইন্ধিরা গান্ধীর নাতনী বলেছেন, ‘আমি কী বলবো-মাঝপথে তারা আমাকে আটকালো। আমাকে আটকানোর কোনো কারণ নেই তাদের। ঈশ্বরই জানেন, তারা কেন এমনটি করেছেন!‘

৭৬ বছর বয়সী সাবেক আইপিএস (ভারতীয় পুলিশ সার্ভিস) কর্মকর্তা দারাপুরিকে চলতি সপ্তাহে পুলিশ গ্রেফতার করে। তিনি ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনবিরোধী একটি প্লেকার্ড নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তা দাঙ্গাকে উসকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলে পুলিশ।

দারাপুরির এ গ্রেফতারের খবর তার নাতি সিদ্ধার্থ দারাপুরি ফেসবুকে লিখেন। ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে সিদ্ধার্থ জানান, তার সৎ ও ন্যায়বান দাদার ওপর মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। সিদ্ধার্থ আরও লিখেন, তারা দাদা পুলিশে থাকার সময় কখনো গুলি ছুঁড়েন নি। তিনি গুলি দিয়ে নয়, সুন্দর ব্যবহার আর কথার মাধ্যমে অপরাধীদের সুপথে আনতেন।

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের সময় সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বিক্ষোভ-সহিংসতায় উত্তর প্রদেশে ২১ জন নিহত হয়েছে।