বিতর্কিত নাগরিক সংশোধনী আইন (সিএএ) ও নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে সত্যাগ্রহে বসেছে কংগ্রেসের নেতারা। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানী দিল্লির রাজ ঘাটের মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়ালে তারা সত্যাগ্রহে বসে।
এই অহিংস প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন কংগ্রেসের প্রধান নেতা সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
এছাড়া এই প্রতিবাদে মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কামাল নাথ এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী আশোক গেলোটও অংশ নিয়েছেন। এসময় সংবিধানের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের আহবান জানান তারা।
রাজ ঘাটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, আমার কাছে বিজনের এক অশ্রুযুক্ত মা এসে বলেছে, আমার সন্তান দেশের জন্য শহীদ হয়েছে। এছাড়া আরও অনেক বিপ্লবী শহীদ হয়েছে। আমি তাদের নামে প্রতিশ্রুতি করছি আমরা সংবিধান রক্ষা করব।
সত্যাগ্রহ প্রতিবাদে কংগ্রেস থেকে বলা হয়, বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে পুরো দেশব্যাপী আন্দোলন চলছে। বিশেষ করে যুবকরা যেভাবে আন্দোলন করছে তা স্মরণীয়।
সোমবার সকালে টুইট বার্তার মাধ্যমে ভারতের তরুণদের প্রতিবাদে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
এর আগে কংগ্রেস বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়েছে। এছাড়া আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে তারা।
আর ভারতের সরকার থেকে বলা হচ্ছে, নতুন এই আইন মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশী সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় নিপীড়িত হলে তাদের ভারত নাগরিকত্ব দিবে। তবে সমালোচকরা বলছেন এটি মুসলিমদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং ভারতীয় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করেছে।