ই-মেইল ও হোয়াটসঅ্যাপে জেএনইউর পরীক্ষা!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আন্দোলনরত জেএনইউ শিক্ষার্থীরা | ছবি: সংগৃহীত

আন্দোলনরত জেএনইউ শিক্ষার্থীরা | ছবি: সংগৃহীত

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণার পর শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অভিনব পদ্ধতি অনুসরণ করছে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্বদ্যিালয় (জেএনইউ)।

শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার সমাপনী পরীক্ষা ই-মেইল ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে, প্রশাসনিক এ সিদ্ধান্তকে ‘উদ্ভট’ বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষার্থীরা।

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানায় গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ডিন অনুষদের বিভাগীয় প্রধানদের একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে ডিন অশ্বিনী কে. মোহাপাত্র জানান, ক্যাম্পাসে চলমান বিশেষ পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা নেয়ার এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মোহাপাত্র আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক স্বার্থেই মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা ই-মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা সম্মতি দিয়েছেন।

ওই চিঠির বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে জানায়, মাস্টার্স ও এমফিল কোর্সের শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেবেন। শিক্ষার্থীদের ই-মেইলের মাধ্যমে বা হোয়াটসঅ্যাপে উত্তরপত্রের স্ক্যান কপি শিক্ষকের কাছে পাঠাতে হবে। এ ছাড়াও তারা নিজে উত্তরপত্র নির্দিষ্ট শিক্ষকের কাছে জমা দিতে পারবেন।

আগামী ২১ তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র জমা দিতে হবে। তবে, কেউ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিতে না পারলে তাকে অতিরিক্ত একদিন সময় দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

এ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি বা কপি করার বিষয়টি কীভাবে দেখা হবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে অশ্বিনী কে. মোহাপাত্র জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের আর কোনো উপায় নেই।

গত নভেম্বরে হোস্টেল ফিসহ বিভিন্ন ফি উচ্চহারে বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলন করে আসছেন জেএনইউর শিক্ষার্থীরা। এরই অংশ হিসেবে তারা পরীক্ষা বয়কটের ঘোষণা দেন।

প্রশাসনের পরীক্ষা নেওয়ার এই কৌশলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংসদ ও শিক্ষক সংসদ ‘হাস্যকর’ ও ‘উদ্ভট’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাদের অভিযোগ, যথাযথ পন্থা না মেনেই এ ধরনের হাস্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষা প্রক্রিয়াকে ব্যাঙ্গ করা হচ্ছে বলেও মনে করেন তারা।